দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নৈহাটির বড় মা কে নিয়ে বাঙালির উন্মাদনার শেষ নেই। বড়মার মাহাত্ম্য দেশ রাজ্যের বেড়াজাল পেরিয়ে বিদেশেও তার প্রসার ঘটেছে। প্রতিবছরের মত এবছরও কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম চোখে পড়ার মত ছিল নৈহাটিতে। মার কাছে এই বিশেষ দিনে পুজো দিতে ভক্তদের ভিড় ছিল নজরকাড়া।লোক মুখে শোনা যায় বড়মার কাছে কিছু চাইলে, কাউকে ফেরায় না বড়মা। তাই জাগ্রত এই মার কাছে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন মনস্কামনা নিয়ে।
এই বড় মা কালী কত বছরের তা নির্দিষ্ট ভাবে জানার আগেও এ বছর আনুমানিকভাবে ১০০ বছর উদযাপন করা হবে বড়মার পুজোর। সেই উপলক্ষে বিশেষ কিছু কর্মসূচিও আগামী দিনে রয়েছে মন্দির কমিটির। তবে এদিন তারাপীঠের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য মন্দির গুলির মতোই নৈহাটির বড় মা কালীর মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজনের ঢল নামে বড়মার দরবারে।
কৌশিকী অমাবস্যার এদিনের বড়মার কাছে পুজো ঘিরে নৈহাটির ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মন্দির চত্ত্বরেও ছিল কড়া নিরাপত্তা ও সুষ্ঠ পরিষেবা। বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের সামনে দিয়ে এদিনের জন্য কোনরকম টোটো বা যানবাহন চলাচল।
মন্দির কমিটির তরফ থেকে জানানো হয় মাকে সামনে রেখে পুরোটাই মানুষের জন্য সামাজিক কাজে নিয়োজিত তারা। মাকে দেওয়া ভক্তদের ফলমূল থেকে শুরু করে যাবতীয় পৌঁছে যায় মানুষের কাছে দুস্থদের কাছে এমন কি হাসপাতালেও ফল বিতরণের মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো হয়। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে মন্দিরে বিয়ের কার্ড দিয়ে জানালে বিয়ের জন্য ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সারা বছরই মাকে কেন্দ্র করে সামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন এই বড়মা কালী পুজো কমিটি। প্রতিদিন এই মন্দিরে সকালে ও সন্ধ্যায় দুবার করে পুজো হয়। তবে এদিন বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানা যায়।