Breaking News
 
Delhi Blast: ভুটান থেকে দেশে ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! Shubman Gill: শুভমান-শেহনাজের মধ্যে সম্পর্ক কী? 'গিল' পদবি রহস্য ফাঁস করলেন সলমনের নায়িকা Partha Chtterjee: চাকরির দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার, পার্থর চ্যালেঞ্জ—'কার থেকে টাকা নিয়েছি?', খোলা চিঠি বেহালা পশ্চিমে Delhi Blast: সরকারি চাকুরের মেয়ে চিকিৎসক শাহিন, বিবাহবিচ্ছেদের পর জইশ-এ যোগদান, ধৃত জঙ্গি কাজ করত মাসুদের বোনের নির্দেশে Partha Chatterjee: ‘দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে উত্তর দেব’, নির্দোষ প্রমাণের অঙ্গীকার পার্থর, মরিয়া হারানো 'স্থান' ফিরে পেতে Shubman Gill: আচমকা ইডেনে দেখা! পুরনো সতীর্থদের পেয়ে মেতে উঠলেন শুভমান, উৎফুল্ল তারকা

 

Festival and celebrations

2 years ago

Durga Puja 2023 : নবমীতে এক যুবক হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় হাড়িকাঠে মাথা দেয়, সেই থেকেই নরবলির প্রথা শুরু কনক দুর্গার মন্দিরে

Kanak Durga Temple (File Picture)
Kanak Durga Temple (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  দেবী ‘কনক দুর্গা’-কে ঘিরে হাজারো কাহিনি ও কিংবদন্তী ছড়িয়ে গোটা ঝাড়গ্রামে।আজ থেকে প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড়ে সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহের স্বপ্নে দেখা দেন দেবী দুর্গা। দেবীর নির্দেশ মতো রানির হাতের সোনার কাঁকন দিয়ে রাজা নির্মাণ করান এক দেবীমূর্তি। নাম হয় ‘কনক দুর্গা’। 

কথিত আছে, দেবীর এক পুরোহিত নিত্যপূজা সেরে বাড়ি ফেরার পথে একটি কালো রঙের খরিশ সাপ তাঁকে দংশন করে। পুরোহিত সে যাত্রা বেঁচে যান। দেবী তাঁকে স্বপ্নে আশ্বাস দিয়ে বলেন, মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আর কালো খরিশ সাপ থাকবে না। সেই থেকেই নাকি ওই এলাকায় আর কালো খরিশ সাপ দেখা যায় না।

উল্লেখ্য, ওড়িশা থেকে আসা ব্রাহ্মণ রামচন্দ্র ষড়ঙ্গীর পরিবার বংশ পরম্পরায় ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের কুল পুরোহিত। বর্তমান পুরোহিত জানান, কনক দুর্গার মন্দিরে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়। তাতে বলির প্রথাও রয়েছে। এক সময়ে নাকি মহানবমীতে নরবলি হত।তবে বর্তমানে সে রেওয়াজ উঠে গিয়েছে।

দেবীর নরবলির নেওয়ার ও এক গল্প রয়েছে, শোনা যায়, দেবীই নাকি রাজাকে আদেশ দিয়েছিলেন, নরবলি দিয়ে সেই রক্তে তাঁকে স্নান করাতে হবে। রাজা পড়েন মহা চিন্তায়-- কাকে বলি দেওয়া হবে! রাজাকে চিন্তামুক্ত করেন দেবীই। নবমীর দিনে নাকি এক যুবক হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় হাড়িকাঠে মাথা দেয়। দেবী তুষ্ট হন। সেই থেকেই নরবলির প্রথা শুরু। পরে যা পাল্টে গিয়েছে মহিষ বলিতে।

কণক দুর্গা মন্দিরে নরবলি বন্ধের কাহিনিও খুবই রোমাঞ্চকর, শোনা যায়, অতীতে সে সময়ে প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় বলি দেওয়ার জন্য এক জন নিখুঁত মানুষের প্রয়োজন পড়ত। আর সেই মানুষকে খোঁজার গুরুদায়িত্ব ছিল চার রাজকর্মচারীর উপরে। এক বার বলির জন্য রাজকর্মচারীরা এক বালককে বন্দি করে একটি অন্ধকার কুঠুরিতে রাখেন। যথারীতি মহানবমীর দিনে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাড়িকাঠের সামনে। বলির সময়ে সেই বালক হঠাৎ জোর গলায় দুর্গাস্তব আওড়াতে শুরু করে। ঘাবড়ে যান উপস্থিত সকলেই। ছুটে আসেন রানি গোবিন্দমণি। তিনিই দেবীর উদ্দেশ্যে করজোড়ে প্রার্থনা করে বন্ধ করেন নরবলি। মুক্তি দেন দুর্গাভক্ত সেই বালককে। সেই থেকেই নাকি নবমীর পুজোয় নরবলি বন্ধ হয়ে শুরু হয় মহিষ বলি। সে প্রথা আজও চলছে, যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন কনক দুর্গা মন্দির চত্বরে। 

You might also like!