দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গ্রামের নাম তেহট্ট, সেখানে সংসার সামলে মূর্তি গড়েন ঘরের গৃহবধূ ছায়া পাল। সেখানে তিনি দুর্গাসহ গণেশ, লক্ষ্মী কিংবা কালী সকলের মূর্তি গড়েন। তবে কিভাবে আসলেন তিনি এই পেশায়? এই বিষয় শোনা যায়, একসময় তিনি নিজের শ্বশুর ও ভাসুরদের এভাবে মাটির মূর্তি গড়তে দেখতেন। তবে তখন তিনি এই কাজের কিছুই জানতেন না। তবে পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে তিনি শিখতে থাকেন খড় বাঁধা, মাটির প্রলেপ দেওয়া, চক্ষুদান।
তবে এবছরের ছবিটা অন্যান্য বছরের থেকে অন্য রকম। এবারে মূর্তি গড়ে তেমন লাভের মুখ দেখেননি তিনি। তাঁর কথায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর খরচ অনেকটাই বেশি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বে অনেক বারোয়ারি পুজোর বরাত পেতে তুলনায় কম টাকায় বায়না নিয়ে সংসারের কাজ সামলেই দুর্গা প্রতিমা গড়তে হচ্ছে ছায়াদেবীকে।
তাঁর প্রতিবেশী ও পরিবারসুত্রে জানা গিয়েছে, ছায়াদেবী বিয়ের আগে মূর্তি গড়ার কাজ সম্বন্ধে কিছুই জানা ছিল না। ভাসুর, শ্বশুরদের হাতের কাজ দেখে তিনি নিজেই এখন একজন প্রতিষ্ঠিত প্রতিমা শিল্পী। এখন তার হাতে গড়া বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা এলাকার বিভিন্ন মন্দিরের জায়গা করে নিয়েছে। ছায়া দেবীর কথায়, '' ”আজ থেকে ৩৮ বছর আগে মাত্র তেরো বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি এই সাধুবাজার গ্রামে আসি। বাবার বাড়ি বার্নপুর হালসানা পাড়ায়। বাবা চাষের কাজ করে সংসার চালাতেন। যখন বিয়ে হয় তখন ছিল আমাদের শ্বশুরবাড়ির যৌথ পরিবার, এখন সকলের পৃথক। সেই সময় সংসারের কাজ সামলে অবসরে শ্বশুর, ভাসুরদের মাটি দিয়ে মূর্তি গড়ার কাজ বসে বসে একদৃষ্টে দেখতাম ও তাদের কাজের অনেক সময় সহযোগিতা করতাম। সেই থেকে কাজের হাতে খড়ি।”