দুরন্ত বার্ত ডিজিটাল ডেস্কঃ শাস্ত্রীয় মতে অনেক বাড়িতেই মা দুর্গার পুজা হয়ে থাকে,তবে আলিপুরে নিজের বাড়িতে হ্যালি গোস্বামীর পুজো সম্পূর্ণ আলাদা। নিজে মূর্তি তৈরি করেন হ্যালি। পুজোও করেন নিজেই।এই বাড়িতে রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের ভাবাদর্শে পুজো হয়। তবে আলিপুরে নিজের বাড়িতে হ্যালি গোস্বামীর পুজো সম্পূর্ণ আলাদা। নিজে মূর্তি তৈরি করেন হ্যালি। পুজোও করেন নিজেই।
হ্যালি পেশায় আইনজীবী। তবে স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছেন শিল্পীর জীবন। ভারতের লুপ্ত শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাস অনুসন্ধানই তাঁর নেশা। এই নেশাই ভর করে স্কুল জীবনে মনের খেয়ালেই তৈরি করে ফেলেন দুর্গা প্রতিমা। সেই থেকে পুজো শুরু হয় হ্যালির বাড়িতে।
রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাবাদর্শের সংস্পর্শে এসে আরও সমৃদ্ধ হয় এই পুজো। সম্পূর্ণ শাস্ত্র বিধি মেনে এই পুজো হয়। বেদ বিদ্যালয়ের বেদ পাঠ করতে ব্রাহ্মণ আসেন চণ্ডীপাঠের জন্য। বদ্রীনাথের সরস্বতী নদীর জল, ব্রহ্মপুত্র নদের জল, শিশিরের জল থেকে শুরু করে ভারতের সব তীর্থের জলে পুজোয় মায়ের মহাস্নানের জন্য নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়াও হাতির দাঁতের মাটি ও রাজার বাড়ির দরজার মাটি সংগ্রহ করা হয়। অষ্টমীর দিন মহা স্মারোহে পালিত হয় কুমারীপুজা। দশমীর দিন পান্তা ভাত, কচুর শাক, চালতার টক, বড়ি দিয়ে ভোগ দিয়ে মাকে বিদায় জানানো হয়।
এই পুজো দেখার জন্য শুধু দেশের লোকই নয়, আমেরিকা, রাশিয়া থেকেও পর্যটকরা আসেন। ক্ষুদ্র পরিসরে বিলাসবহুল আড়ম্বর ছাড়া ২২ বছর ধরে পালিত হচ্ছে এই পুজো।