দুরন্ত বার্তা
ডিজিটাল ডেস্কঃ- আজ দ্বিপানিতা কালীপুজো। অশুভকে নিধন করে শুভকে আহ্বান করা হয়। মা
কালীর পদ ধ্বনিতে আলোকিত হয়ে ওঠে গোটা মর্ত্যলোক। আট থেকে আশি, সকলের ভিড় জমে কালীমন্দিরগুলিতে।
তেমনি দূরদুরান্ত থেকে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায় উত্তর ২৪ পরগনার প্রায় ৪০০ বছরের
পুরোনো বারাসতের ডাকাত কালীবাড়িতে।
কথিত আছে, এই
রঘু ডাকাত জমিদার বাড়িতে ডাকাতি করে গরিবদের মধ্যে সেই সব টাকা-গয়না বিলিয়ে দিতেন।
রঘু ডাকাত এবং ওঁর অনুগামীরা কাঠামো বানিয়ে তাতে মাটি দিয়ে তৈরি করেছিলেন এই মন্দিরের
পাঁচিল। তবে ছাদ বলতে আজও অশ্বত্থ গাছের শিকড়। মন্দিরের এখন ভগ্নপ্রায় দশা। তবে মা
তারা আজও সেখানে জাগ্রতভাবে বিরাজ করেন, এমনই অমোঘ বিশ্বাস ভক্তদের।
স্থানীয় এক
বাসিন্দা জানান, এই মন্দিরে দরজা লাগানো সম্ভব হয় না। সব সময় খোলা থাকে মন্দির। যত
বার দরজা লাগানো হয় তত বারই এক রাতের মধ্যে ভেঙে যায় সেই দরজা। এলাকাবাসীর বিশ্বাস,
'মা' নিজেই রক্ষা করেন তাঁর মন্দির। তবে এখানে পুজোর কোনো আড়ম্বর নেই, পুজোয় বসেন
না পুরোহিতও। ভক্তরা নিজেদের মতো করে ধুপ-ধুনো-মোমবাতি জ্বালিয়ে বাতাসা দিয়ে পুজো
দেন মায়ের উদ্দেশ্যে। তাতেই তুষ্ট হন মা কালী।