দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শক্তিরূপিনী দুর্গা হলেন আদিশক্তি। তিনি স্বয়ং মহাদেবের অংশ।মার্ক্যণ্ড পুরাণের অংশ স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে মর্ত্যে দেবীর আগমন ঘটে। দেবী কাঞ্চন বরনা ত্রিলোচনা। মহাদেব ও ত্রিলোচনায়ঃ, মহাদেবের তৃতীয় চোখ জ্ঞানের প্রতীক।
অন্যদিকে মা দুর্গার ত্রিনয়ন আলাদা আলাদা মার্গ কে সূচিত করে থাকে। মা দুর্গার বাম চোখ চাঁদ রয়েছে, এটি মনের ইচ্ছের প্রতীক। দেবীর ডান চোখে অবস্থান করে সূর্য, এটি কর্মের প্রতীক এবং তাঁর তৃতীয় নয়নে অবস্থান করে অগ্নি, যা জ্ঞানের প্রতীক।
শ্রী দুর্গা সপ্তসতী - চণ্ডী মন্ত্রে বলা হয়েছে: সর্ব মঙ্গলা মঙ্গল্যে, শিবে সর্বার্থ সাধিকে, শরণ্যে ত্রম্বকে গোরী নারায়ণী নমস্তুতে, নারায়ণী নমস্তুতে, নারায়ণী নমস্তুতে।
অর্থাত্, হে গৌরী মা, তুমি শিবের অংশ, তুমি সবার থেকে পবিত্র। তুমি সবার মনের ইচ্ছে পূরণ করো। আমি নিজেকে তোমার পায়ে সমর্পণ করছি।
শিব তত্ত্ব অনুসারে মনের উচ্চভাব ও শুদ্ধতার রূপ প্রকাশ করে তৃতীয় চক্ষু। এই তৃতীয় চোখ জ্ঞানের আলো প্রজ্জ্বলন করে।কথিত আছে মহাদেবের ধ্যানে বাধা দেওয়ায় মহাদেব তাঁর তৃতীয় চক্ষু উন্মিলীন করে কামদেবকে ভষ্ম করে দিয়েছিলেন। অর্থাত্ মনের বাসনাকে দহন করার ক্ষমতা রাখে এই তৃতীয় চক্ষু। মায়ের ত্রিনেত্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতীক। মনে করা হয় প্রতিটি মানুষের মধ্যেই জ্ঞান চক্ষু থাকে তবে তা মুদিত অবস্থায় থাকে, সঠিক সময়ে তা উন্মিলিত করাতেই মানুষের শিক্ষার প্রকাশ প্রতিফলিত হয়।