দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিবছরই প্রাক পুজো মরসুমে এই রোগ কলকাতা ও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে থাবা বসায়। ফলে পুজোর সময় কিংবা পুজোর আগে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু পুজোর মরসুমে এমন হলে কার ভালো লাগে বলুন তো? তাই পুজোর সময় এই রোগ থেকে নিজেকে দুরে রাখতে আগে থেকেই সতর্ক হন।
জ্বর আসলে এবং সেটি একদিনের বেশি থাকলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে নিন। তবে প্লেটলেট কাউন্ট বা অনুচক্রিকা স্বাভাবিক থাকলে ভয়ের পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে এই জ্বরে জ্বরের সঙ্গে উপসর্গ হিসেবে নজরে আসে মাথা ব্যাথার সাথে গা, হাত ও পা ব্যাথা। আরও বাড়তি উপসর্গ হল পেট খারাপ। তবে এ রোগের একমাত্র ভরসা ওষুধ এমন ভাবাটা নেহাতই ভুল। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্করা ৬ লিটার জল পান করতে পারেন। এই সময় জ্বলের স্বাদ পাওয়া যায় না, সেক্ষেত্রে ওআরএস বা ইলেক্ট্রল মিশ্রিত জল খাওয়া যেতে পারে।
ডেঙ্গুকে এড়িয়ে চলতে বা শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে শরীরে চাই পর্যাপ্ত পুষ্টি। তাই সঠিক পরিমাণে আহারও জরুরী বইকি। ডায়েটে রাখুন ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এমন খাবার যা আপনার শরীরে পুষ্টির মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম। আপনার ডায়েটে রাখুন তরতাজা ফল ও সবজি। ভিটামিন সি-কে নিজের শরীরে সমৃদ্ধ রাখতে লেবু জাতীয় ফল, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, বেলপেপার, পালং শাকের মতো খাবার খান।
এই সময় আপনার শরীরের প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিন। তাই ডেঙ্গিকে প্রতিহত করতে আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, ডাল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারগুলি খাবারগুলি অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা ইমিউনিটি বাড়াতে এবং রক্ত কোষের উৎপাদন বৃদ্ধি সাহায্য করে।
এই রোগের জন্য আরও একটি উপযোগী বিষয় হল আয়রনযুক্ত খাবার গ্রহণ। যা প্লেটলেট কাউন্ট নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম। তাই খাসির মাংস, মুরগির মাংস, ডাল, কড়াই, পালং শাক, বেদানা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর এই সময় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত ভাবিয়ে তুলছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের। তাই পুজোর আগে ও পুজোর সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে এই পন্থাগুলি অবলম্বন করুন। তবে এক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শই শেষ কথা।