প্রকাশ মণ্ডল ,দুরন্ত বার্তা:প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে থেকেই এই রীতি মেনে দুর্গা পূজা করেন হরিপালের সাত বাড়ি রায় পরিবার।অন্যদিকে হরিপালের ভাট্টাচার্জ পরিবারের অনুমতি নিয়ে বিসর্জন হয় রায় পরিবারের দেবী দুর্গার।
তৎকালীন সময়ে শিবদাস মুজুমদারকে রায় উপাধিতে ভূষিত করেন সম্রাট আকবর।তার পর থেকে হরিপালে অন্যান্ন জমিদার পরিবারের পাশপাশি জমদারিত্ব করতে থাকেন শিবদাস রায়।যদিও তিনি ছিলেন নন্দ জিউ এর ভক্ত।প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে এই রায় পরিবারে দুর্গা পূজার প্রচলন করেন শিবদাস রায়ের সাত পুত্র।
রায় বাড়িতে কালিকাপুরান মতে বিশেষ রীতি নীতির সাথে পূজিত হন দেবী দুর্গা।মূলত নন্দ উৎসবের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় সাত বাড়ি রায় পরিবারের দুর্গা পূজা।পশু বলি প্রথা আজ ও চালু আছে।তবে আগে মহিষ,মেষ এবং চারটি ছাগ বলি দেওয়া হতো।কিন্তু বর্তমানে মহিষ ও মেষ বলি বন্ধ হলেও ছাগ বলি প্রথা চালু আছে আজও।
দশমীর দিন বিশেষ রীতি মেনে মা দুর্গার বরণ করেন মন্দিরের পূজারী সহ রায় পরিবারের তিন জন পুরুষ সদস্য।দেবীকে বরণ করার আগে বিশেষ বস্ত্র পরিধান করেন তিন পুরুষ সদস্য।
অন্যদিকে প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে গুরু বাড়ি অর্থাৎ রায় পরিবারের পাশেই বসবাস করেন ভট্টাচার্য পরিবার।ভাট্টাচার্জ পরিবারের অনুমতি নিয়ে বিসর্জন হয় দেবী দুর্গার তবে তার আগে রায় পরিবারের তরফ থেকে একটি এক টাকার কয়েন পাঠানো হয় গুরু বাড়ি অর্থাৎ ভাট্টাচার্জ বাড়িতে।সেই এক টাকার কয়েন কে লক্ষী রূপে পূজা করেন ভাট্টাচার্জ পরিবার।
অন্যদিকে এই ভাট্টাচার্জ পরিবারে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে দুর্গা পূজার প্রচলন হয়।