দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :টালিউডের সিনেমায় অভিষেক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অভিনেত্রী তানজিন তিশার। সিনেমাটির নাম ‘ভালোবাসার মরশুম’। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলা সিনেমায় কাজ করতে চলেছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’ অভিনেতা শারমন যোশি। সিনেমার খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন পরিচালক এম এন রাজ। এতে আরও অভিনয় করবেন টালিউডের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়।
রাজ এর আগে জিৎ অভিনীত ‘রাবণ’ বানিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। এ নির্মাতা জানান, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁদের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।অ্যাকশন ঘরানার সিনেমা বানিয়ে পরিচিতি পেলেও রাজের এই সিনেমা হতে যাচ্ছে রোমান্টিক ঘরানার। পরিচালক রাজ জানিয়েছেন, ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় শারমন যোশি অভিনীত চরিত্রের নাম আবির। তানজিন তিশা ও সুস্মিতার চরিত্রের নাম যথাক্রমে হিয়া ও পারমিতা।
সিনেমাটির গল্প নিয়ে প্রথম আলোকে পরিচালক জানান, কলেজে পড়ার সময় অধ্যাপক আবিরের প্রেমে পড়েন হিয়া। কিন্তু আবির তখনো ভুলতে পারেননি তাঁর সাবেক প্রেমিকা পারমিতাকে। কিন্তু শেষমেশ হিয়ার সঙ্গে আবিরের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, তাঁদের বিয়েও হয়। কিন্তু বিয়ের পর হিয়ার সঙ্গে আবিরের সম্পর্ক পাল্টাতে থাকে। হিয়াকে এড়িয়ে চলতে থাকেন আবির। কিন্তু কেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না হিয়া। এমনই টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্প। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে শারমন যোশি জানিয়েছেন, এই সিনেমার জন্য বাংলা ভাষা শিখছেন তিনি।
অভিনেতা বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের অনেক বড় ভক্ত আমি। এখন প্রাদেশিক ভাষায় অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। বাংলা সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। এর আগে বাংলা ভাষার কোনো সিনেমায় কাজ করা হয়নি। তবে ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এর হিন্দি রিমেক ‘গ্যাং অব গোস্টস’ সিনেমায় কাজ করেছি। আর আমি বাংলা সিনেমার দর্শক, নিয়মিত দেখি।’
পরিচালক জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ে সিনেমার শুটিং শুরু হবে। বেশির ভাগ অংশের শুটিং হবে পাহাড়ে। আর কিছু অংশের কাজ হওয়ার কথা মুর্শিদাবাদে। আগামী বছরের পূজায় সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা নির্মাতাদের। মেহের এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারের ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি গল্প লিখেছেন পরিচালক এম এন রাজ।
সিনেমাটি দিয়ে বাংলাদেশের আরেক অভিনেতা খায়রুল বাসারেরও টালিউডে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিডিউল জটিলতায় ছবিটি থেকে সরে এসেছেন তিনি। নির্মাতা জানিয়েছেন, ই-মেইলে কনফারমেশন ও অগ্রিম পারিশ্রমিক নেওয়ার পরও কোনো আলোচনা ছাড়া অভিনেতার এ সিদ্ধান্ত সবাইকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
এ বিষয়ে খায়রুল বাসার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৌখিক সম্মতির পর তাঁরা আমাকে এক-চতুর্থাংশ টাকা পরিশোধ করেন আর চুক্তির পর বাকি ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা। আমি যেহেতু কাজ করছি না, তাঁদের টাকা তো অবশ্যই ফেরত দেব। ইতিমধ্যে তাঁদের কাছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়েছে, নম্বর পেলেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর যোগাযোগের যে কথা তিনি বলছেন, শুটিংয়ে থাকার কারণে তাঁর কল আমি ধরতে পারিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বার্তা পাঠিয়েছি।’