১. দোলের দিন হুগলিতে মায়ের সামনে পিটিয়ে খুন ছেলে
দোলের দিন মায়ের সামনে ছেলেকে পিটিয়ে খুন করল প্রতিবেশী ! ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার জনাই এলাকায়। পুরনো পারিবারিক সমস্যার জেরেই শুরু হয় বচসা। দোলের দিন মদ্যপ অবস্থায় প্রতিবেশী রুনু সিং ও তার দুই ছেলে বুদো আর বাবু কৃষ্ণেন্দুর উপরে চড়াও হয়। উঠোনে ফেলে লাথি, ঘুষি মারার পাশাপাশি কৃষেন্দুকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে তারা। বিয়ারের বোতলও ভেঙে মারে। মায়ের সামনেই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই বছর ৩২ এর যুবকের। মৃত ওই যুবকের নাম কৃষ্ণেন্দু দাস। ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত, পলাতক দু' জন।
২. দোলের আগের দিন পার্টনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন হরিদেবপুরের গৃহবধূ
হরিদেবপুরের গৃহবধূ ডালিয়া চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। উত্তর বারাসতের দত্তপুকুর বৈশালী পাড়া থেকে অর্জুন নামে আরও ১ জনকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মোট দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল অরুনাভ দত্তকে। দোলের দিন সকালে হরিদেবপুরের গলিতে এক তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে জানা যায়, ওই তরুণীর নাম ডালিয়া চক্রবর্তী। তিনি বিবাহিত। ডালিয়া নরেন্দ্রপুর খেয়াদার বাসিন্দা। বুধবার সকালে হরিদেবপুরের বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের পাশে রাস্তায় এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ডালিয়ার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বামী গিয়ে ডালিয়ার দেহ শনাক্ত করেন।
৩. ৭ দিনে ৪২, রাজ্যে আজ আরও ৩ শিশুর মৃত্যু
জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মৃত্যু,বাবা-মায়ের বুক ফাঁটা কান্না- গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিসি রায় শিশু হাসপাতাল চত্বরে পা রাখলেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠছে। শিশু মৃত্যু কোনওভাবেই রোখা সম্ভব হচ্ছে না। পরিসংখ্যান বলছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় প্রত্যেক দিন গড়ে ৬-৭ জন করে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। মঙ্গলবারের পর বুধবারও শিশুমৃত্য়ু হয়েছে বাংলায়। বিসি রায় হাসপাতালে এক জন ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও ২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কেন কলকাতার সরকারি হাসপাতালে এই হারে শিশুমৃত্যু? পর্যালোচনা করতে গিয়ে চিকিৎসকদের কথাতেই উঠে আসছে ‘রেফার রোগ’ তত্ত্ব। মঙ্গলবারের একটি কেস স্টাডিও তার প্রমাণ।
৪.স্কুলে স্কুলে নোটিস তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের।
ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ বনধ ডেকেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন বামেরাও। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, ১০ মার্চের সরকারি কর্মচারীদের এই কর্মসূচিকে ঘিরে ফের কড়া নির্দেশিকা জারি হতে পারে। কিন্তু তার মাঝেই প্রত্যেকটি স্কুলে স্কুলে নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। নোটিস পাঠিয়ে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আবেদন জানানো হচ্ছে, দাবি আদায়ের জন্য বিচারাধীন বিষয় অনৈতিক ধর্মঘটের নামে ছাত্র-ছাত্রী স্বার্থ বিঘ্নিত করা চলবে না। ১০ তারিখ কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ করে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন চালু রাখার আবেদনে করেছে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি।
৫. দিল্লি গিয়েই ঘুম উড়ল অনুব্রতর
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছ' টায় আসানসোল জেল থেকে বেরিয়েছিলেন। এর পর কলকাতা হয়ে দিল্লির বিচারকের বাড়িতে শুনানি শেষে যখন ইডি-র লক আপে ঢোকানো হয়, তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত দুটো পেরিয়েছে। কিন্তু টানা ১৯ ঘণ্টার ধকলের পরেও দিল্লি গিয়ে প্রথম রাতে দু' চোখের পাতা এক করতে পারলেন না অনুব্রত মণ্ডল। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সারারাত প্রায় জেগেই কাটিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। এমন কি, দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরের লক আপের ভিতরে তাঁকে পায়চারিও করতে দেখা গিয়েছে। তবে এ দিন সকালে চা বিস্কুট খেয়েছেন তিনি৷ খেয়েছেন জলখাবারও৷
৬.নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি বাম মুখ্যমন্ত্রীর!।
দিল্লির আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। তাঁর গ্রেফতারি কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত দেখছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ৯ টি বিরোধী দল। যদিও সেই তালিকায় ছিল না বামেরা। এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। সিসোদয়ার গ্রেফতারি কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, সিসদিয়ার বাড়ি এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা বা অন্যান্য কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে, সারাদেশে এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, রাজনৈতিক কারণেই টার্গেট করা হয়েছে দিল্লির উপমন্ত্রীকে এবং এই ধারণা খারিজ করা জরুরি।
৭. ‘৫০০০ মানুষ হত্যার দায় নিচ্ছি আমি’
দেশের ৫০০০ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী তিনি! বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের। আর তারপরই, তাঁর গ্রেফতারির আবেদন জমা পড়ল নেপালি সুপ্রিম কোর্টে। জ্ঞানেন্দ্র অরন ও কল্যাণ বুধাথোকি নামে দুজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং আরও বেশ কয়েকজন যৌথভাবে এই আবেদন করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই মাওবাদী বিদ্রোহে কোনও না কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মাওবাদী বিদ্রোহ চলাকালীন ৫০০০ মানুষের হত্যার দায় স্বীকার করার প্রেক্ষিতে প্রচণ্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং তদন্তের ফল অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন তাঁরা। শুক্রবার, এই আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি শুনানির জন্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন নেপালি বিচারপতি ঈশ্বর খাতিওয়াড়া এবং হরিকৃষ্ণ ফুয়াল।
৮. দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তানের বাবা হলেন উমেশ যাদব
আজ, ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে নারী দিবস। এই নারী দিবসেই সুখবর শোনালেন ভারতীয় দলের তারকা পেসার উমেশ যাদব। দ্বিতীয় বার তাঁর স্ত্রী তানিয়া কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আগামী কাল, ৯ মার্চ শুরু হবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। তার আগে উমেশ ও তানিয়ার ঘর আলো করে এল আরও এক কন্যা সন্তান। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উমেশ ও তানিয়ার প্রথম কন্যার জন্ম হয়। তাঁরা তাঁদের প্রথম কন্যা সন্তানের নাম রাখেন হুনার। সোশ্যাল মিডিয়ায় উমেশ ও তানিয়া তাঁদের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্মের খবর জানিয়েছেন।
৯. জয়ের পর রং ছড়াল দিল্লি শিবিরে
টানা দুটি ম্যাচ জিতে দিল্লি শিবিরের ফুরফুরে মেজাজ ধরা পড়ল ম্যাচের পর। স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে আসা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেন জেমাইমা রডরিগজ। মঙ্গলবার ডব্লিউপিএলের ম্যাচ থাকায় রঙের উৎসবে সামিল হতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। ইউপি ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে জয়ের পর দিল্লি শিবিরে ছড়াল রং। শেফালি ভার্মাদের সঙ্গে চুটিয়ে হোলি খেললেন দিল্লির বিদেশি ক্রিকেটাররা। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই এই প্রথমবার রঙের উৎসবে সামিল হলেন। ভারতের 'ফেস্টিভ্যাল অব কালারস'-এ অংশ নিতে পেরে বেজায় খুশি। রং মেখে ক্যামেরায় পোজ দিতে ভুললেন না।
১০. শাহরুখের দেখা পেতে মেকআপ রুমে ৮ ঘণ্টা কাটিয়ে গ্রেফতার দুই যুবক
বলিউড তারকা কিং খান বলতে অনেকেই অজ্ঞান। তাঁকে এক পলক দেখতে মন্নতের সামনে ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। আর সেই পঞ্চাশোর্ধ্ব তারকার বাড়িতেই নাকি রাত কাটালেন দুই যুবক। তবে এই রাত্রি যাপন শেষ পর্যন্ত খুব একটা সুখকর হল না। শেষে পুলিশের জালে ধরা পড়তে হল দুই যুবককে। মন্নতের বাইরে থেকে শাহরুখকে দেখায় মন ভরত না তাঁদের। তাই দেওয়াল টপকে সরাসরি বলি তারকার বাংলোয় প্রবেশ করেন তাঁরা। তারপর শাহরুখকে একবার দেখার অপেক্ষায় তারকার মেকআপ রুমেই ঠায় ৮ ঘণ্টা ঘাপটি মেরে থাকেন দুই যুবক। পরের দিন সকালে ধরা পড়ে যান তাঁরা।