
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে মাত্র ১১,২৭২ জন বিদেশি নাগরিকের কাছেই আধার আছে—ইউআইডিএআই-এর এই পরিসংখ্যান সামনে এনে সরাসরি অমিত শাহকে আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এসআইআরকে হাতিয়ার করে নির্বাচন কমিশন আসলে ঘুরপথে এনআরসি প্রয়োগের চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার, তৃণমূল কংগ্রেসর রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে নিজের এক্স পোষ্টে লিখেছেন, “আমি ইউআইডিএআইকে লিখেছিলাম যে ভারতে কতজন বিদেশি নাগরিককে আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে। উত্তর? মাত্র ১১,২৭২ জন বিদেশি।” নিজের পোষ্টের সঙ্গেই তৃণমূল সাংসদ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, ইউআইডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমারের চিঠির উত্তরের একটি কপি শেয়ার করেছেন। সেই তথ্য উদ্ধৃত করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের সমালোচনার মুখর হয়েছেন সাকেত। তিনি লিখেছেন, “যদি ইউআইডিএআই আধার কার্ডধারী বিদেশির সংখ্যা জেনেই থাকে, তাহলে কেন অমিত শাহ মিথ্যা দাবি করেছেন যে আধার কার্ড থাকা লক্ষ লক্ষ বিদেশি অভিবাসী রয়েছেন? একটি জাল আধার শনাক্ত করতে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে। কারণ এটি বায়োমেট্রিক্সের সঙ্গে সংযুক্ত। একটি আধারের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই দেখা যাবে যে এটি জাল কিনা। তাহলে অমিত শাহ কেন দাবি করেন যে জাল আধার ব্যবহার করা হচ্ছে?”
এটা স্পষ্ট যে নির্বাচক কমিশন এসআইআরের অজুহাতে একটি ব্যাকডোর এনআরসি করার চেষ্টা করছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। কমিশনের সমালোচনা করে একাধিক প্রশ্নও তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি লিখছেনে, “যদি ইউআইডিএআই জেনে থাকে যে মাত্র ১১,২৭২ জন বিদেশির আধার কার্ড আছে, তাহলে এটা স্পষ্ট যে বাকিরা ভারতীয় নাগরিক। তাহলে, ইসিআই কেন দাবি করছে যে আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই ইসিআই এসআইআর (সাইলেন্ট ইনভিজিবল রিগিং) অনুশীলনের জন্য আধার গ্রহণ শুরু করে। যখন ইউআইডিএআই স্পষ্টভাবে বলছে যে মাত্র ১১,২৭২ জন বিদেশির আধার কার্ড আছে, তখন ইসিআই কেন আগে আধারকে বৈধ নথি হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল?”
