
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভুটান থেকে দেশে ফিরেই বুধবার তিনি পৌঁছান দিল্লির লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতালে, যেখানে বিস্ফোরণে আহত ২০ জন চিকিৎসাধীন। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক আহতের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে।
সোমবার দিল্লিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। যদিও এখনও এটি জঙ্গি হামলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি, তদন্তের ধারার ইঙ্গিত তা নির্দেশ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভুটান থেকে ফিরে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, হামলার নেপথ্যে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে তিন ঘণ্টা অবস্থান করছিল। ঘটনাস্থল ও ঘাতক গাড়ির সূত্র ধরে ইতিমধ্যে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি হয়। কেনেন জনৈক সলমন। পরে তিনি গাড়িটি দিয়ে দেন দেবেন্দ্রকে। তবে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়াই। পরে সেখান থেকে মালিকানা বদল হয় সোনুর কাছে। এরপর গাড়িটি যায় তারিকের কাছে। কিন্তু গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে কোনও বদল হয়নি। তবে এই প্রক্রিয়ায় ফরিদাবাদের এক গাড়ি বিক্রেতার নামও জড়িয়ে গিয়েছে। ফরিদাবাদ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাদিম খান নামের ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করেই তারিকের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
ভুটান সফর শেষে বুধবার দিল্লিতে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীতে পৌঁছেই তিনি সরাসরি হাসপাতালে যান এবং আহত ২০ জনের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করেন তিনি। তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন।
