দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি মাসের ২২ তারিখ নব নির্মিত রাম মন্দিরের দ্বারোঘাটন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হবে রামলালাকে। আর এই আবহে সামনে এল মন্দির তৈরিতে ব্যক্তিগতভাবে সর্ববৃহৎ অর্থ প্রদানকারী এক আধ্যাত্মিক গুরুর নাম।
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সরযূ পাড়ের দেবালয় তৈরিতে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থ প্রদানকারীদের তালিকায় রয়েছেন মোরারি বাপু। ব্যক্তিগতভাবে তিনিই সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মন্দির নির্মাণকারী ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মোরারি বাপু ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন ১১.৩ কোটি টাকা। এছাড়া আরও ৮ কোটি টাকা মিলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তাঁর ভক্তদের থেকে। বিদেশে থেকেই ব্যক্তিগতভাবে অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছেন তাঁরা।
এহেন রাম ভক্ত মোরারি বাপু জন্ম গুজরাটের ভাবনগরে। সালটা ছিল ১৯৪৬। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে সেখানেই থাকেন তিনি। সূত্রের খবর, মাত্র ১২ বছর বয়সে তুলসীদাস রচিত 'রামচরিতমানস'-র হাজারের বেশি শ্লোক মুখস্থ করে পেলেন তিনি। ১৪-তে পা দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় রাম কথা আবৃত্তি করতেন মোরারি বাপু। আর এতেই ধীরে ধীরে অধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর।
বৈষ্ণব বাবা সাধু নিম্বার্ক বংশের সন্তান মোরারি পরবর্তীকালে বিভিন্ন জায়গায় রামচরিতমানস ও রামায়ণের নানা গল্প শোনাতেন। এই সংক্রান্ত শ্লোকের দারুণ ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে তাঁর। মোরারির প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে একবার তাঁর মুখে রাম কথা শুনতে এসেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
প্রথম থেকেই রাম মন্দির তৈরির জোরাল সমর্থক ছিলেন গুজরাটের এই আধ্যাত্মিক গুরু। গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ও দেশের বাইরে রামায়ণের মাহাত্ম্য প্রচার করে আসছেন তিনি। নিজেকে অবশ্য সামান্য একজন ফকির ছাড়া কিছুই বলতে রাজি নন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন নমো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে থাকবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এছাড়া মন্দিরের দ্বারোঘাটন পর্বে ছ'হাজারের বেশি অতিথি অভ্যাগত উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।