দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নদিয়ার শান্তিপুরের নতুনহাট বাজারে এক দোকানের গল্প এটি। ২৪ বছর আগে বাবার হাত ধরে ব্যবসায় হাতেখড়ি। এরপর বার্ধক্যজনিত কারণে অবসর নিতে হয় বাবাকে। তারপর থেকেই দোকান সামলানোর দায়িত্ব পড়ে ছেলের উপর। কিন্তু এই এক টাকার কচুরি কথা সারা শান্তিপুরবাসীর কাছে পরিচিত। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এক টাকায় কচুরি মানুষের মুখে তুলে দেওয়া কী ভাবে সম্ভব? এই বিষয়ে ব্যবসায়ী জনি রক্ষিত জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণই বিক্রির উপর লাভ থাকে তাঁর। তবে সারাদিন দোকান চালিয়ে খুব অল্প লভ্যাংশ থাকে। এই এক টাকার কচুরি তাঁর বাবা দীপক রক্ষিতের হাতেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর সেটাকেই বহাল রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে জনি বলেন,'যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন ১ টাকাতেই খাইয়ে যাব, এটা আমার প্রতিজ্ঞা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার ভালো লাগে, সেই হিসেবে সাধারণ মানুষকে আমি ১ টাকা করে কচুরি খাইয়ে যাব।'
সাধারণের মন জয় করতে কচুরি ভাজার সময় অবলম্বন করা হয় বিভিন্ন কৌশল। একসঙ্গে একাধিক কচুরি বেলে ছেড়ে দেওয়া হয় ছাঁকা তেলে। আর সেগুলি একসঙ্গে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়িয়ে পড়ে। দোকানে ক্রেতারা শুধু কিনতে বা খেতেই আসেন না, চলে আড্ডাও। আর সেই আড্ডার মাঝেই কখন যে লুচি মুখে উঠে যায় আর, কখনই বা শেষ হয়ে যায় তা কার্যত বোঝাই যায় না। এক টাকায় শুধু লুচিই মেলে না, সঙ্গে বিনামূল্যে থাকে মটরের ঘুগনি, স্যালাড, কাসুন্দি ও টমেটো সস। এসব কিছুই মাত্র এক টাকায়। আর এক টাকার যে এখনও খাবার পাওয়া যায়, তা বছরের পর বছর ধরে প্রমাণ করে করে চলেছেন রনি। শুধু শান্তিপুরই নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও ছড়িয়ে রয়েছে এই দোকানের নাম। তাই পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও সারাবছরই ১ টাকার লুচির খোঁজে দোকানে ভিড় করেন ক্রেতারা।