দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের জীবনে সংখ্যার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। নিউমেরোলজি অনুসারে সংখ্যার সঠিক ব্যবহার আমাদের জীবন বদলে দিতে পারে। আজ দেখে নেওয়া যাক ৭ সংখ্যাকে কেন শুভ সংখ্যা বলা হয়ে থাকে এবং কী মাহাত্ম্য এই সংখ্যার।
হিন্দুধর্মে ৭ সংখ্যার বৈশিষ্ট্য
হিন্দুধর্মে ৭ সংখ্যার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। সাত শ্রেষ্ঠ ঋষিকে একসঙ্গে সপ্তর্ষি বলা হয়। এই সপ্তঋষি হলেন ঋষি কাশ্যপ, ঋষি অত্রি, ঋষি ভরদ্বাজ, ঋষি বিশ্বামিত্র, ঋষি গৌতম, ঋষি জমদগ্নি এবং ঋষি বশিষ্ঠ। মনে করা হয় বৈদিক ধর্মকে এই সাত ঋষিই রক্ষা করে চলেছেন বলে মনে করা হয়।
এছাড়া হিন্দুধর্মে রয়েছে সপ্তপুরীর উল্লেখ। দেশের সাত পবিত্র শহরকে একসঙ্গে সপ্তপুরী বলা হয়। এই সাত শহর হল অযোধ্যা, মথুরা, বারাণসী, কাঞ্চিপূরম, উজ্জ্বনিয়ী, দ্বারকা ও হরিদ্বার।
হিন্দু বিয়েতে সপ্তপদী, অর্থাত্ পবিত্র আগুনকে সাক্ষী রেখে বর কনের সাত পাক ঘোরার রীতি প্রচলিত আছে। এই সপ্তপদী প্রথা মেনে স্বামী স্ত্রী সাত জন্মের জন্য আবদ্ধ হয়ে যান বলে মনে করা হয়।
বাইবেলে ৭ সংখ্যার বৈশিষ্ট্য
বাইবেলেও ৭ সংখ্যার উল্লেখ আছে। জেনেসিস অনুসারে ঈশ্বর ৬ দিনে এই বিশ্বকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং সপ্তম দিনে তিনি বিশ্রাম নেন। এই কারণে ৭ সংখ্যাটির সঙ্গে ঐশ্বরিক যোগসূত্র রয়েছে।
জ্যোতিষে ৭ সংখ্যার বৈশিষ্ট্য
জ্যোতিষ অনুসারে সাতটি প্রধান গ্রহ রয়েছে। এই সাত প্রধান গ্রহ হল সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি। নবগ্রহের বাকি দুটি হল ছায়াগ্রহ রাহু ও কেতু। এই সাত মহাজাগতিক অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের শক্তির উত্স্য।
সপ্তাহের ৭ দিন
আজ আমরা যে সাত দিনের সপ্তাহের নিয়ম অনুসরণ করি, তা প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। ব্যবলিনীয় সভ্যতা, রোমান সভ্যতা এবং ইহুদি সভ্যতা - সর্বত্রই সাত দিনের সময়চক্র পালন করা হত। আর এই সাত দিনের নামকরণ করা হয়েছিল জ্যোতিষ অনুসারে সাতটি প্রধান গ্রহের নাম থেকে।
সপ্ত আশ্চর্য
৭ সংখ্যাটি জড়িয়ে আছে বিশ্বের সপ্ত আশ্চর্যের সঙ্গে। গঠনশৈলীর দিক থেকে অবাক করে দেয়, এমন সাতটি স্থাপত্যকে সপ্ত আশ্চর্যের তকমা দেওয়া হয়েছে। এই সাত আশ্চর্য হল - ভারতের তাজমহল, গিজার পিরামিড, চিনের প্রাচীর, ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, ইতালির কলোসিয়াম ও ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও।