দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শনিবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে এসে ভারতীয় দলের প্রশংসা করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া লড়াই সম্পর্কে এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেছেন, 'বরাবরই ভারতীয় দলের শক্তি স্পিন বোলিং। ভারতের স্পিনাররা যে কোনও পিচেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন। তবে গত কয়েক বছরে ভারতের সিমাররা যেভাবে উন্নতি করেছে, তার ফলেই ভারতীয় দল পরপর ২ বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলছে। সিমারদের জন্যই এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা টেস্ট দল ভারত। অতীতে ভারতীয় দল যখন বিদেশ সফরে যেত, তখন আয়োজক দেশে গ্রিন টপ পিচ করা হত। কারণ, সেই সময় ভারতীয় দল গ্রিন টপে ভালো খেলতে পারত না। কিন্তু এখন আর সেরকম পরিস্থিতি নেই। ভারতীয় দল এখন অনেক বেশি তৈরি। যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, ভারতীয় দল লড়াই করতে তৈরি।'
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে কোন দল এগিয়ে, এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য সতর্ক ক্লুজনার। তাঁর বক্তব্য, 'এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া কঠিন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সঙ্গে ভারতের ব্যাটারদের লড়াই হবে। এই লড়াইয়ে যে দল জয় পাবে তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে।'
ভারতীয় দলে এখন যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে হার্দিক পান্ডিয়াকে অন্যতম সেরা ফাস্ট-বোলিং অলরাউন্ডার বলে উল্লেখ করেছেন ক্লুজনার। তিনি বলেছেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়া দুর্দান্ত ক্রিকেটার। ও যদি ফিটনেস ধরে রাখতে পারে এবং ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করে যেতে পারে, তাহলে ওর বোলিংয়ের মোকাবিলা করা সবসময়ই কঠিন হবে। ও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।’
ক্লুজনার আরও বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পরিবর্তন হয়। আবার পুরনো জিনিস ফিরে আসে। আমি যখন খেলতাম, তখন বেশ কয়েকজন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার ছিল। তারপর আমরা অনেকজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারকে দেখেছি। এখন আমি খুব বেশি ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার দেখতে পাচ্ছি না। আগামী ৫ বছরের মধ্যে হয়তো আমরা আবার একসঙ্গে অনেকজন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডারকে দেখতে পাব। আমরা যদি ওয়ার্কলোড ঠিকমতো সামাল দিতে পারি, তাহলে অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলা সম্ভব। এখনও যে কোনও দলে ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডারদের জায়গা আছে।’
ইডেন গার্ডেন্সে অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে মিলে সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়দের ধরাশায়ী করেছিলেন ক্লুজনার। সেই স্মৃতি এখনও সতেজ। তবে এখন এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের ভূমিকা বদলে গিয়েছে। তিনি ত্রিপুরার ক্রিকেটের উন্নতিতে সাহায্য করতে চান।