দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই রথযাত্রা। জগন্নাথদেবের রথযাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। পুরীর মন্দির চত্বরে রথের কাজ শেষ করার তোরজোড় চলছে পুরোদমে। গণদেবতা জগন্নাথের রথযাত্রায় সামিল হতে বর্তমানে পুরীতে তিল ধারণের জায়গা নেই। রথযাত্রা দর্শনের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় হয়।দশম শতাব্দী থেকে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা আষাঢ় শুক্লা দ্বিতীয়াতে জগন্নাথ পুরী থেকে শুরু হয় এবং দশমী তিথিতে শেষ হয়।যে রথগুলিতে ভগবান ভ্রমণ করেন তা পবিত্র এবং পরিপক্ক নিম কাঠের তৈরি। এই রথগুলির নির্মাণে কোনও পেরেক, কাঁটা বা অন্য কোনও ধাতু ব্যবহার করা হয় না। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই রথগুলি তৈরি করা হয়।
৭ ধরনের কারিগর নির্মাণ করেন: ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং মা সুভদ্রার জন্য তিনটি রথ তৈরি করা হয়। এগুলো তৈরির জন্য নয়াগড়ের দাসপাল্লা বন থেকে প্রতি বছর কাঠ আনা হয়। অক্ষয় তৃতীয়া থেকে রথযাত্রা পর্যন্ত দুই মাস ধরে এই নির্মাণ কাজ চলে। এতে ৭ ধরনের কারিগর রয়েছে।
কথিত আছে, রথযাত্রা উত্সবে অংশগ্রহণ করলেই শত যজ্ঞের সমান পণ্যলাভ করা সম্ভব হয়। ভক্তের আর্তিতে সাড়া দেন স্বয়ং জগন্নাথ। ভক্তের দুঃখ-কষ্টের অবসান ঘটান তিনি। এছাড়া রথের দড়িতে টানা দিলে বা দড়ি ছুঁলেই সবধরনের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।রথযাত্রা উত্সবে অংশগ্রহণ করলেই শত যজ্ঞের সমান পণ্যলাভ করা সম্ভব হয়। ভক্তের আর্তিতে সাড়া দেন স্বয়ং জগন্নাথ। ভক্তের দুঃখ-কষ্টের অবসান ঘটান তিনি। এছাড়া রথের দড়িতে টানা দিলে বা দড়ি ছুঁলেই সবধরনের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।কিন্তু রথযাত্রার ঠিক সাতদিন পর পালিত হয় উল্টোরথ। মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দির থেকে ফের পুরীর প্রধান মন্দিরের ফিরে আসেন জগন্নাথদেব। সঙ্গে দুই ভাইবোন থাকেন। কিন্তু রথযাত্রা উত্সবের পর বিশাল রথের কী হয়? রথের জন্য ব্যবহৃত কাঠগুলির কী হয়?
ক্যালেন্ডার মতে,প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে এই যাত্রা শুরু হয়। এই উৎসবের সময় ভগবান জগন্নাথ, তাঁর বোন সুভদ্রা ও ভাই বলভদ্র তিন তিনটে রথে চড়ে মাসির বাড়িতে যান। উল্টোরথের পর সেই রথগলির কী পরিস্থিতি হয়?
প্রথা মেনে প্রতিবার,ভগবান জগন্নাথের রথের ১৬টি চাকা, বলভদ্রের রথে ১টি চাকা ও সুভদ্রার রথে ১২টি চাকার রথনির্মাণ করা হয়। হলুদ, সবুজ ও নীল রঙের আবরণ দিয়ে তৈরি রথ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই। প্রতিটি রথের কাঠামো তৈরি হয় নিমকাঠ দিয়ে।
জগন্নাথ মন্দিরের নিয়ম অনুসারে, রথ নির্মাণে যে কাঠ ব্যবহার করা হয়,তার উত্সস্থ হল, পুরীর কাছে দাশপাল্লা ও রাণাপুর নামে দুটি সংরক্ষিত জঙ্গল। প্রতিবছর রথের জন্য যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়, তার দ্বিগুণ পরিমাণ গাছ রোপণ করা হয়।
প্রথা মেনে, প্রতি বছর রথযাত্রা শেষে রথের কাঠ জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে মহাপ্রসাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে তিনটি রথের চাকা ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়, অর্থের বিনিময়ে।
প্রথা মেনে, প্রতি বছর রথযাত্রা শেষে রথের কাঠ জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে মহাপ্রসাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে তিনটি রথের চাকা ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়, অর্থের বিনিময়ে।