
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সংবিধান দিবস উপলক্ষে বড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার কাশ্মীরি ভাষায় সংবিধানের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কাশ্মীরির পাশাপাশি সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ৯টি ভারতীয় ভাষায় সংবিধানের ডিজিটাল কপি প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভাষাগুলো হল মালয়ালম, মারাঠি, নেপালি, পাঞ্জাবি, বোড়ো, তেলেগু, ওড়িয়া, অসমিয়া এবং কাশ্মীরি। এই অনুষ্ঠান থেকে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ”আমাদের সংবিধান সমানাধিকারকে প্রাধান্য দেয়। সেকথা মাথায় রেখেই তিন তালাকের মতো কুপ্রথা রদ করা হয়েছে। এই বিরাট পদক্ষেপের জন্য আমি সকল সাংসদকে ধন্যবাদ জানাই।” পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রশংসা করেন তিনি।
বুধবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা-সহ সংসদের দুই কক্ষের সাংসদরা। সেখানেই তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে তৈরি করা একটি হিন্দি স্মারক পুস্তিকাও প্রকাশিত হয়, যেখানে সংবিধানের স্বতন্ত্র ক্যালিওগ্রাফি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিজেই এই অনুষ্ঠানে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন। এরপর কাশ্মীরি-সহ মোট ৯টি ভাষায় সংবিধানের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর অর্থাৎ আজকের দিনেই সংসদের সেন্ট্রাল হলে স্বাধীন দেশের জন্য নয়া সংবিধান তৈরির কাজ সম্পন্ন হয় এবং তা পেশ করা হয়। আমাদের সংবিধান গণতন্ত্রকে এক শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। যা সামাজিক ও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ৩ বছর আলোচনার পর দেশের মহান পণ্ডিতদের দ্বারা এই সংবিধান প্রণীত হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে, এটি ছিল আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ফসল। সেই আন্দোলনের আদর্শগুলি সংবিধানে লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রস্তাবনায় সংক্ষেপে দেওয়া এই আদর্শগুলির মধ্যে রয়েছে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব। রাষ্ট্রপতি বলেন, এই আদর্শগুলি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতকে আত্মাকে চেনায়। সংবিধান এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যেখানে প্রতিটি নাগরিকের উন্নতি হয়, সমাজে তাঁরা অবদান রাখতে পারে এবং অন্যদের সাহায্যে উদ্যত হন।”
