
নয়াদিল্লি, ২৮ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৯-৩০ নভেম্বর ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে পুলিশের মহানির্দেশক/ ইন্সপেক্টর জেনারেলদের সর্বভারতীয় সম্মেলনের ৬০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)। পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত তিনদিনের এই সম্মেলনে পুলিশি ব্যবস্থায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রগতির বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। সেইসঙ্গে, বিকশিত ভারতের জাতীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে সুরক্ষিত ভারতের আগামী দিনের নকশা গড়ে তোলা হবে।
‘বিকশিত ভারত : নিরাপত্তার নানা দিক’ – এই বিষয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনায় উগ্র বামপন্থা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, মহিলাদের সুরক্ষা সহ পুলিশি ক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিজ্ঞান এবং কৃত্রিম মেধার ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী অসামান্য সেবাকর্মের জন্য প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক প্রদান করবেন। সারা দেশের পুলিশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবর্গ, সেইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে এই সম্মেলনে জাতীয় স্তরে নিরাপত্তার বিস্তৃত দিক নিয়ে মতবিনিময় ক্ষেত্র তৈরি হবে। পেশাদারি ক্ষেত্রে ব্যবহারিক প্রয়োগগত দিক, পরিকাঠামো সহ পুলিশ বাহিনী যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। সেইসঙ্গে, অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ইতিকর্তব্য স্থির করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী এই বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে বরাবরই অত্যন্ত আগ্রহী। কারণ, মুক্ত বাতাবরণে পারস্পরিক মতবিনিময়ের ক্ষেত্র এতে তৈরি হয়, যা পেশাদারিত্ব ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা পালন করে থাকে। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি তাঁদের মতামত জানানোর সুযোগ পান। ২০১৪ সাল থেকে এই সম্মেলন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে নিয়মিত এই বাহিনীর আধুনিকীকরণের পথ প্রশস্ত হয়েছে। ইতিপূর্বে এই সম্মেলন অসমের গুয়াহাটি, গুজরাটের কচ্ছের রন, তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের তেকানপুর, গুজরাটের কেভাডিয়ার স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, মহারাষ্ট্রের পুণে, উত্তর প্রদেশের লখনউ, নতুন দিল্লি, রাজস্থানের জয়পুর এবং ওড়িশার ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীরা, কেন্দ্র ও রাজ্য শাসিত অঞ্চলের পুলিশের মহানির্দেশকগণ, কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর প্রধানরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
