দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মণিপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতিগত দাঙ্গায় আড়াই বছর ধরে বিধ্বস্ত রাজ্যে তাঁর এই সম্ভাব্য সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই সফরের সম্ভাব্য রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কেন এতদিনে একবারও মণিপুর সফরে যাননি, তা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসস-সহ বিরোধীরা। তার মধ্যেই জানা গিয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর মিজোরাম যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রেললাইনের উদ্বোধন পর্ব সেরে মণিপুরে যাবেন তিনি। রাজধানী ইম্ফল ও দাঙ্গাবিধ্বস্ত চুড়াচাঁদপুরে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা গিয়েছে। তবে কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। সরকারিভাবে এখনও প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত সংঘর্ষে জর্জরিত মণিপুর। কুকি ও মেতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে চলা উত্তপ্ত সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চললেও বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই স্পর্শকাতর রাজ্য। এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীরা বারবার দাবি জানিয়েছেন—প্রধানমন্ত্রী যেন স্বয়ং মণিপুরে গিয়ে সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে আসেন। তবে আড়াই বছর কেটে গেলেও সেখানে যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেষবার তিনি মণিপুরে গিয়েছিলেন ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভয়াবহ হিংসা শুরু হওয়ার আগেই।
মোদির মণিপুর সফরের সম্ভাবনা সামনে আসতেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙত ছ’মাস পরে, প্রধানমন্ত্রীর ঘুম প্রায় তিন বছর পর ভেঙেছে। কিন্তু মণিপুরের মা-বোনেদের যখন তাঁকে দরকার ছিল, তখন তাঁকে পাশে পাওয়া যায়নি। এখন নিশ্চয় সেখানে শিলান্যাস, উদ্বোধন করতে হবে। তাছাড়া সদ্য চিন, জাপান সফর সেরে ফিরেছেন। সেসব নিয়ে বড় বড় কথা বলবেন সেখানে, আর কী!”