Country

2 months ago

PM Modi: 'বিরোধীরা কেবলমাত্র আশ্বাস দেয় আর আমরা উন্নয়ন করি'- আত্মবিশ্বাসী মোদী!

PM Modi (File Picture)
PM Modi (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শুধু মোদী ম্যাজিক নয়, টিম হিসেবে লড়েই এ বারের ভোটে জিতবে বিজেপি, পঞ্চম দফা ভোটের পর আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। NBT-এর আশিস পাণ্ডে এবং নরেন্দ্র নাথকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরিস্থিতি থেকে বিদেশনীতি— সব বিষয়েই অকপট বক্তব্য রাখলেন মোদী।

২০১৯-এর ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টা আসন জিতেছিল বিজেপি। এ বার? মোদীর বক্তব্য, ‘তৃণমূল হোক, কংগ্রেস বা বাম— সকলে বাংলায় একই পাপ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝেছেন, এই দলগুলো শুধু আশ্বাস দিতে জানে, উন্নয়নের লক্ষ্য ওদের নেই। আগে অন্য রাজ্য থেকে লোক রোজগারের আশায় বাংলায় আসতেন, এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাধ্য হয়ে রাজ্য ছাড়ছেন। বাংলায় যে দলগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে ভোট লড়ছে, দিল্লিতে তারাই একসঙ্গে লড়ছে। ভোটারদের সঙ্গে এর থেকে বড় প্রতারণা আর কী হতে পারে?’ তাঁর সংযোজন, ‘বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, হিংসা, অরাজকতা, মাফিয়ারাজ, স্বজনপোষণ সহ্য করছেন। টিএমসি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারে পরিণত হয়েছে। বাংলার পরিস্থিতি এখন এমনই, সরকারি চাকরি পেয়েও যুবসমাজ নিশ্চিন্ত হতে পারছে না, সেই চাকরি থাকবে কি না! অন্যদিকে বাংলার যুবসমাজের সামনে রয়েছে বিজেপির উন্নয়ন মডেল। আমি বাংলার যেখানেই প্রচারে গিয়েছি, বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা দেখেছি। বাংলার মা-বোনদের থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত। আমি নিশ্চিত, এবার পশ্চিমবঙ্গে বেশি আসন পাব-ই।’

বিজেপি শুরু থেকে দাবি করে আসছে, ‘অব কি বার ৪০০ পার’, কিন্তু প্রথম পাঁচ দফার নির্বাচনে দেখা গিয়েছে ভোটদানের হার বেশ কম। সত্যিই ৪০০ পার করতে পারবে বিজেপি? মোদী মনে করেন, আগামী দু’দফার নির্বাচনে ৪০০ আসন পার করবে বিজেপি। উত্তরভারতে তাপপ্রবাহ এবং অসহ্য গরমের কারণেই ভোটদানের হার কম বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর বার্তা, ‘প্রত্যেকে অফিসের জন্য বা নিজেদের কাজের জন্য রোদেও বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ করব— ভোটদানকেও দায়িত্ব মনে করে পূরণ করুন।’ তবে কাশ্মীরে ভোটদানের হার বাড়ায় উচ্ছ্বসিত মোদী। বললেন, ‘শ্রীনগরের পর বারামুলাতেও ব্যাপক ভোট পড়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরের মানুষ এখন স্বস্তিতে বাঁচছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, ৩৭০-এর নামে এতদিন তাঁদের ঠকানো হয়েছে।’

কিন্তু বিজেপির ভরসা তো ‘মোদী ম্যাজিক’, শুধু তাঁর ম্যাজিকে ভরসা করে ৪০০ পার সম্ভব? মোদীর দাবি, একা তাঁর নামে দল চলছে না, বরং বিজেপি টিম হিসেবে কাজ করছে বলেই সাফল্য আসবে। তাঁর বিদেশনীতির কারণে গত ১০ বছরে বিশ্বমঞ্চে ভারতের স্থান পাকা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। মোদীর কথায়, ‘আজ আমরা আলোচনার টেবিলে বসলে উল্টোদিকের মানুষটি বোঝেন পুরোনো ভারত আর নেই। এখন যে কোনও চুক্তিতে ভারতীয়দের ভালো থাকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যুদ্ধরত দু’টি দেশকে ভারত জোরের সঙ্গে বলতে পারে, এটা যুদ্ধের সময় নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সময়।’

এই প্রশ্নের জবাবেও নিজের সরকারের সাফল্যের কথাই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘২০১৪-এর নির্বাচনী প্রচারের সময়ে আমি বুঝেছিলাম, মানুষ পরিবর্তন চাইছে। ২০১৯-এর ভোট প্রচারে বুঝেছি, আমাদের ৫ বছরের কাজ দেখে মানুষ ভরসা পাচ্ছে। আর ২০২৪-এর প্রচারে গিয়ে বুঝলাম, বিকশিত, দুর্নীতিমুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখছে দেশবাসী।’ এদিকে, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে তো সারা দেশে প্রচার চালাচ্ছেন বিরোধীরা! মোদী অবশ্য সেই সব অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। উল্টে তাঁর দাবি, গত ১০ বছরে মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে, ইউপিএ সরকারের সময়ে তা অনেক বেশি ছিল। বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধ চলা সত্ত্বেও পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাড়তে দেয়নি ভারত। কমেছে চিকিৎসা, ওষুধের খরচও। আর সেই সাফল্যেই যুবসমাজের মনজয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদী।

You might also like!