দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই! তবে কি এসআইআর প্রক্রিয়ায় বাদ যাবে আপনার নাম? নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে হলে কী কী নথি দেখাতে হবে—সোমবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে স্পষ্ট বার্তা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর তথা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী। দ্বিতীয় পর্বে নয়টি রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এই প্রক্রিয়া। বিহারের নির্বাচনের আগে এসআইআর প্রক্রিয়ায় নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে জীবিত ভোটারদের নাম মৃত বলে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এই অবস্থায় ভোটারদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক কাজ করছে। বেশিরভাগ মানুষের মনে প্রশ্ন যদি ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম না থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি কী করবেন?
সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ভোটার তালিকায় নাম মেলানোর বিষয়ে বিশদে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, “২৭ অক্টোবর রাত ১২টার পরে ভোটার তালিকা ‘ফ্রিজ’ করা হবে। যে ১২ রাজ্যে এসআইআর হবে সেখানে সব ভোটারদের এনুমারেশন ফর্ম দেবেন বিএলওরা। এই ফর্মে বর্তমান ভোটার তালিকার সব তথ্য থাকবে।” জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন, যেসব ভোটারের বাবা অথবা মায়ের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে তাঁদেরকে কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দিতে হবে না। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিএলওরা বর্তমান ভোটারদের কাছে এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ শুরু করার পর, যাঁদের নাম এনুমারেশন ফর্মে থাকবে তাঁরা সকলেই ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় তাদের নাম ছিল কিনা তা মেলানোর চেষ্টা করবেন। যদি তালিকায় নাম থাকে, তাহলে তাঁদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
তিনি আরও বলেন, যদি ভোটারদের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় না থাকে তাহলে তাঁদের নিজের বাবা অথবা মায়ের নাম খুঁজতে হবে ২০০৩ সালের তালিকায়। যদি তাঁদের বাবা-মায়ের নাম অথবা অন্য অভিভাবকের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় থাকে সেক্ষেত্রেও তাদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দিতে হবে না বলে জানানো হয়েছে। যদি কোনও ভোটার নিজের কোনও অভিভাবকের নামের সঙ্গে নিজের নাম মেলাতে না পারেন সেক্ষেত্রে তাঁকে কমিশন নির্ধারিত নথি জমা দিতে হবে নিজেকে বৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণ করার জন্য। জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন, ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এসআইআর-এর ভোটাতালিকা কমিশনের ওয়েবসাইট http://voters.eci.gov.in-এ গিয়ে সবাই দেখতে পারবেন। প্রয়োজনে ভোটাররা নিজেরাই তাঁদের নাম ম্যাচ করাতে পারবেন।
