মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। এরপরই আর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই মঙ্গলবার তিহাড় জেলে গিয়ে আবগারি দুর্নীতিকাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। বুধবার কেজরিওয়ালকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পায় সিবিআই। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আদালতে আপ প্রধানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সিবিআই-এর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারির আবেদনে সাড়া দিয়েছে।
মঙ্গলবার তিহাড় জেলে কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ইডি গ্রেফতার করেছিল কেজরিওয়ালকে। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে ইডি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে। শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে দিল্লি হাইকোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। বুধবার শীর্ষ আদালতে কেজরিওয়ালের মামলার শুনানি রয়েছে।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলকারী আসলে সিবিআই। পরে ইডি মামলায় যুক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করে। ইডির হাতেই গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, তেলেঙ্গানার বিআরএস নেত্রী কে কবিতা প্রমুখকে গ্রেফতার করে ইডি। রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংকেও তাঁরা গ্রেফতার করেছিল। তিনি আপাতত জামিনে মুক্ত।