নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি : খাদ্য নিরাপত্তা কোনও সুযোগ-সুবিধা নয়, মৌলিক অধিকার। সোমবার রাজ্যসভায় এমনটাই বললেন কংগ্রেস সংদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন, "২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইউপিএ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন দেশের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এটি লক্ষ লক্ষ পরিবারকে অনাহার থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ সংকটের সময়। এই আইনটি প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার ভিত্তি তৈরি করেছে। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে, গ্রামীণ জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ এবং শহরের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য পাওয়ার অধিকারী।"
সোনিয়া গান্ধী আরও বলেছেন, "যাইহোক, সুবিধাভোগীদের জন্য কোটা এখনও ২০১১ সালের জনগণনার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় যা এখন এক দশকেরও বেশি পুরনো। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, চার বছরেরও বেশি সময় ধরে জনগণনা বিলম্বিত হয়েছে। মূলত ২০২১ এর জন্য নির্ধারিত, এটি কখন পরিচালিত হবে সে সম্পর্কে এখনও কোনও স্পষ্টতা নেই। এটা অপরিহার্য যে, সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণনা শেষ করায় অগ্রাধিকার দেয়। খাদ্য নিরাপত্তা কোনও সুযোগ-সুবিধা নয়, মৌলিক অধিকার।"