দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোজন রসিক বাঙালির জলখাবারে নিত্যনতুন কোনো রেসিপি না হলে চলে? তবে অনেকেই সকালবেলা কচুরির সাথে আলুর তরকারি খেতে পছন্দ করেন। সেটা যদি এবার বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় তাহলে মন্দ হয় না।
ক্লাব কচুরি আর আলুর তরকারির রেসিপিঃ
উপকরণ
ডো-এর জন্য…
ময়দা- ১ কাপ
সুজি- ১/৪ কাপ
দই (স্বাভাবিক তাপমাত্রা)- ১/৪ কাপ
নুন- স্বাদ অনুসারে
সাদা তেল- প্রয়োজন মতো
পুরের জন্য…
বিউলির ডাল- ১/২ কাপ
আদা - ১ ইঞ্চ লম্বা
কাঁচা লঙ্কা - ২টি
নুন- স্বাদ অনুসারে
চিনি - ১ চা চামচ
হিং - ১/৪ চা চামচ
মৌরি - ১/২ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
সাদা তেল- প্রয়োজন মতো
প্রণালী
ময়দা, সুজি এবং নুন ভালো করে মিশিয়ে নিন। সুজি দিলে কচুরি ভাজার পর মচমচে থাকবে।
এবার এতে তেল দিয়ে খুব ভালো করে ময়ান দিন।
ময়ান হয়ে গেলে এতে দই দিয়ে মাখতে থাকুন। প্রয়োজন হলে সামান্য জল দিন।
ময়ান যত ভালো হবে কচুরি তত ভালো ফুলবে।
মাখা ময়দা ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এবার বানিয়ে ফেলুন কচুরির পুর।
বিউলির ডাল আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
পুর তৈরির আগে জল খুব ভালো মতো ঝরিয়ে নিতে ভুলবেন না।
এবার ডাল সহ সমস্ত উপকরণ মানে, আদা, কাঁচা লঙ্কা, নুন, চিনি, হিং, মৌরি, জিরা গুঁড়ো সবকিছু একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। এতে জল না দেওয়াই ভালো। খুব শুকনো হয়ে গেলে চামচে করে সামান্য জল দিতে পারেন। তবে মিশ্রণটি মিহি হবে অথচ জমাট বাঁধা থাকবে।
ক্লাব কচুরি আকারে ছোটো হয়। তাই ময়দার ছোটো ছোটো লেচি কেটে নিন।
ডাল বাটার পুর লেচির ভিতরে ভরে নিন। মনে রাখবেন ক্লাব কচুরির ডাল বাটাকে আলাদা করে ভেজে পুর বানাতে হয় না। কচুরি ভাজার সময় ভাপে ভিতরের পুর তৈরি হয়ে যায়।
খেয়াল রাখতে হবে যে কচুরি বেলার সময় যেন ফেটে না যায়। সেই জন্য লেচিতে অল্প পুর ভরুন।
এবার ছাঁকা তেলে কচুরি ভেজে নিন। এবার আলুর তরকারির পালা।
আলুর তরকারি রান্নার পদ্ধতি
উপকরণ
আলু - ৫টি
সর্ষের তেল - ৩ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা - ২টি
পাঁচ ফোঁড়ন - ১ চা চামচ
হিং - ১/২ চা চামচ
হলুদ - সামান্য
ঘুগনির মটর- ১/২ কাপ
কাঁচা লঙ্কা- ৪ টি
নুন- স্বাদ অনুসারে
ভাজা মশলার জন্য প্রয়োজন পড়বে…
শুকনো লঙ্কা- ৪ টি
গোটা ধনে- ১ চা চামচ
গোটা জিরে- ১ চা চামচ
প্রণালী
প্রথমে ভাজা মশলাটি তৈরি করে নিন। শুকনো কড়াই গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা, গোটা ধনে এবং গোটা জিরে ভেজে নিন। ঠান্ডা হলে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন।
মটর আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
আলুর খোসা না ছাড়ালেও হবে। ভালো করে ধুয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিন।
প্রেশার কুকারে সর্ষের তেল গরম করে তাতে পাঁচ ফোঁড়ন এবং শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন।
সুগন্ধ উঠলে তাতে হিং দিয়ে দিন।
এবার আলু এবং জল ঝরানো মটর এতে দিয়ে মিশিয়ে নিন।
এর মধ্যে একে একে মিশিয়ে নিন নুন, হলুদ, চেরা কাঁচা লঙ্কা।
কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে তিন-চারটে সিটি দিয়ে নিন।
কুকারের ভিতরের গরম বাষ্প বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে এতে দিয়ে দিন দুই চামচ ভাজা মশলা।
মিষ্টির দোকানে এই তরকারিতে একটু রসগোল্লার রস দিয়ে দেয়। যদি বাড়িতে থাকে তাহলে সেটাও দিয়ে দিতে পারেন। আর না থাকলে জল চিনি গুলে অল্প রস তৈরি করে নিতে পারেন। সব ভালো করে মিশিয়ে দুই মিনিট ফুটিয়ে কচুরির সঙ্গে পরিবেশন করুন। সঙ্গে লঙ্কার আচার আর তেঁতুলের মিষ্টি চাটনি থাকলে তো কথাই নেই!