দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের জীবন যাত্রায় ব্যস্ততা বর্তমানে শীর্ষে। সারাদিনই ব্যস্ততা সঙ্গী, অবসরের সময় একদমই নেই। জীবন দৌড়াচ্ছে পাশাপাশি সময়ও দৌড়াচ্ছে। আমার অনবরত চেষ্টা করছি সময় বাঁচানোর। আর এই স্বার্থেই নানান সুবিধায় অভ্যস্ত হচ্ছি আমরা। প্রত্যহ আটা, ময়দা মেখে সকাল সকাল রুটি, লুচি, পরোটা করার ঝক্কিটা অনেকেই নিতে চাননা। তাই অনেকেই এক সময় অতিরিক্ত আটা মেখে সেটি ফ্রিজে রেখে দেন। একাধিক গৃহস্থেই এই পদ্ধতি প্রযোজ্য। যে সময় রুটি, লুচি বা পরোটা বানানোর প্রয়োজন হয়, তার অল্প আগে সেই আটার মণ্ড ফ্রিজ থেকে বের করে খানিক সময় বাঁচিয়ে কাজ শেষ করা যায়। এই অভ্যাস যদি আপনারও থাকে তবে সাবধান হোন, এই সংরক্ষিত আটায় কীভাবে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, জেনে নিন,
দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালের এক পুষ্টিবিদ এক্কেবারে খাতায় কলমে দেখিয়েছেন আটার মণ্ড একটি ফ্রিজে ৪৮ ঘণ্টা রেখে দেওয়ার পর তাতে কী জন্মেছে। আসলে সেখানে ছত্রাক থেকে শুরু করে নানা রকম ব্যক্টেরিয়া জন্মায়। কাজের সময় বাঁচানোর জন্য যদি একান্তই ফ্রিজে আটার মণ্ড রাখতে হয় সেক্ষেত্রে জিপ লক দেওয়া প্যাকেটে, এয়ার টাইট বাক্সে বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে তা ফ্রিজে রাখতে পারেন। খোলা পাত্রে কখনও ফ্রিজে আটার মণ্ড রাখবেন না।
সাধারণত আটা মেখে তা মণ্ড বানিয়ে ফ্রিজে যদি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা রাখা হয় তা হলে খুব সমস্যা হয় না। ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে আটার মণ্ড রেখে দিলে সত্যিই তা অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে না। কিন্তু যখন দু’দিনের বেশি আটার মণ্ড ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়, তাতে ছত্রাক জন্ম নিতে শুরু করে। কালো কালো ছোপ ধরে আটার মণ্ডর উপর। এগুলো দেখার জন্য অনুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। তিন দিন যদি আটার মণ্ড রেখে দেওয়া হয়, আর তা থেকে যদি রুটি বানিয়ে খাওয়া হয়, তা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়।