দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার সকালে আমলাদহি বাজারে মাছ কিনতে এসে চিত্তরঞ্জন সংলগ্ন কল্যাণ গ্রামের বাসিন্দা তৃপ্তি দাস দেখলেন একটিও মাছের দোকান খোলা নেই। আবার মাংস কিনতে গিয়েও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হল। শেষপর্যন্ত তিনি ফিরে গেলেন রূপনারায়ণপুরের বাজারে। সেখান থেকে কেনেন মাছ। এই সমস্যায় কেবল তৃপ্তি একা ভোগেননি, বরং তৃপ্তির মতো এদিন অনেকেই চিত্তরঞ্জনে মাছ, মাংস কিনতে এসে খালি হাতে ফিরেছেন।
কিন্তু কেন এই সমস্যা ঘটল গতকাল? আসলে গতকাল ছিল বিয়ের ডেট, বিয়েবাড়ির মাছ-মাংসের অর্ডার পৌঁছে দেওয়া গেছে। তবে একটু ভোগান্তি এই আর কি। সাধারণ ব্যবসায়ীরা আবার বলেছেন রামমন্দির উদ্বোধনের আবহেই আগাম কোনও নোটিস ছাড়া দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে রেল প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সিটুর পক্ষ থেকে চিত্তরঞ্জনের জেনারেল ম্যানেজারের সচিবের কাছে লিখিত ভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, চিত্তরঞ্জন মিনি ভারতবর্ষ। আগামী দিনে যাতে এমন না হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
এদিকে, আমলাদহি বাজারে প্রায় ৪০টি মৎস্য ব্যবসায়ী সদস্যদের সংগঠনের প্রধান ভূপাল নন্দী জানান, এদিন সকালে তাঁদের কাছে আরপিএফের আধিকারিকরা এসে অনুরোধ করেন যাতে আজ তাঁদের দোকানগুলি বন্ধ রাখা হয়। এটা নাকি উপর মহলের নির্দেশ। ভূপাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে শেষপর্যন্ত আরপিএফের কমান্ডেন্ট সাহেবের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তিনি আমাদের আবেদন শুনে মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেন, বিয়েবাড়ির যা অর্ডার আছে সেটা পাঠিয়ে দিয়ে দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। খুচরো বিক্রি যাতে কেউ না করে। আইএনটিইউসি-র দু’জন প্রতিনিধি এ নিয়ে আরপিএফের সঙ্গে আলোচনা করলেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। তাই বিয়েবাড়ির অর্ডারটুকু পৌঁছে দিয়ে দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। আরপিএফের কাছে আমরা অনুরোধ করেছি, আগামী দিনে যদি এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয় তা হলে অন্তত একদিন আগে জানাতে, তা হলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হবে না।’