দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে আজ মঙ্গলবার বিজেপির বসিরহাট জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও অভিযান। তার আগে জারি হল ১৪৪ ধারা। এরইমধ্যে এদিন বসিরহাট প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বসিরহাট জেলা পুলিশের অফিস চত্বর অর্থাৎ সংগ্রামপুর এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে এই ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। অবৈধ জমায়েত করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সকাল থেকেই বিজেপি এবং বাম বিক্ষোভকে রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছে পুলিশ। কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ সিংহকে শনিবার অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার আদালত তাঁকে জামিন দেয়। কিন্তু জামিন পেয়ে আদালত থেকে বেরোনোর পথেই পুলিশ তাঁকে আবার গ্রেফতার করে। একই ভাবে জামিন পেলেও আবার গ্রেফতার হন সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারও। অবশ্য, কী কারণে তাঁদের আবার গ্রেফতার করা হল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। যদিও তা মানতে রাজি নন বিরোধীরা। গ্রেফতার, জামিন, তার পর আবার গ্রেফতারির ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে সুকান্তের। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বামেরাও পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে যাবে। সব মিলিয়ে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সোমবারের পর মঙ্গলবারও শিরোনামে চলে এসেছে বসিরহাট। তবে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বসিরহাট এসপি অফিসের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে জল কামান।
মঙ্গলবারই সন্দেশখালি যাচ্ছে তৃণমূল। নৈহাটির বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যাবে সন্দেশখালিতে। সেই প্রতিনিধি দলে থাকার কথা জেলার বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীদের। কিন্তু সন্দেশখালিতে তো জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা! যে জন্য বিরোধীদের সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। তাহলে কি শাসকদলের জন্য অন্য নিয়ম? তৃণমূল সূত্রে খবর, যে সমস্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি নেই, সেখানেই যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যা শুনে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে, সোমবারের পর মঙ্গলবারও উত্তেজনার সম্ভাবনা সন্দেশখালি-সহ বসিরহাটে।