দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পরিত্যক্ত পুকুরের পাড় থেকে মানুষের হাড়গোড় কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার অন্তর্গত বড়বাইদ এলাকার । ঘটনার খবর চাউর হতেই পুকুরপাড়ে জমতে শুরু করে ভিড়। কোথা থেকে পুকুপাড়ে ওই হাড়গোড় এল তা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতর। এরইমধ্যে এলাকায় আসেন মেজিয়া থানা এলাকার রাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ ভুঁই। কাঁদতে কাঁদতে এলাকায় ছুটে আসেন তিনি। পাশে পড়ে থাকা পোশাক দেখে তিনি দাবি করেন এই দেহাংশ তাঁর বাবার। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে মহাদেব ভুঁই নিখোঁজ ছিলেন। সে সময় পরিবারের তরফে মেজিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করা হয়। প্রায় দুবছর পরেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এদিকে এদিনের এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। তদন্তের জন্য হাড়গোড় উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় পুলিশ। শুরু হয়েছে পরীক্ষা-নীরিক্ষা। তা শেষ হলেই বোঝা যাবে ওই হাড়গোড় আদপে কার। ঘটনায় আনন্দ ভুঁই বলেন, "আজ আমাদের এখানের লোক আমাকে বলে পুকুরপাড়ে কঙ্কাল পড়ে আছে। আমি খবর পাওয়া মাত্র এলাকায় যাই। গিয়ে দেখি কিছু হাড়গোড় পড়ে আছে। আমার বাবা পা ভেঙে গিয়েছিল। রড দেওয়া ছিল। গিয়ে দেখি কঙ্কাল সমেত রডটা পড়ে আছে। কিছু জমাকাপড়ও পড়ে আছে। ওগুলোআমার বাবারই। আসলে আমার বাবার একটু মাথায় সমস্যা ছিল। সে কারণেই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে অনেক খুঁজে ছিলাম পাইনি। জানা যায় ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মহাদেব ভুঁই। সেই সময় মেজিয়া থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। প্রায় দুবছর নিখোঁজ থাকার পর ওই ব্যক্তির হাড়গোড় উদ্ধার নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে স্থানীয়দের মধ্যে। কি করে হঠাৎ করে ওই নিখোঁজ ব্যক্তির হাড়গোড় গ্রামে পৌঁছল, কে বা কারা ওইগুলি পরিত্যক্তি পুকুর পাড়ে রেখে গেল ? এরকম নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে স্থানীয়দের মধ্যে। অন্যদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ।