
কলকাতা, ৭ নভেম্বর :রাজ্য সরকার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসারে আরও এক ধাপ এগোল। এ বার থেকে রাজ্যের সব স্কুলে প্রার্থনার সময় রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলা জল’ গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুলশিক্ষা দপ্তর এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’র পাশাপাশি প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি, বাংলা জল’।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালে রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল। কবি কর্তৃক রচিত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জনমনগণ অধিনায়ক জয় হে”র প্রতি বিদ্যালয়ে নিয়মিত গাওয়ার পাশাপাশি, এই রাজ্যসঙ্গীত গীত হলে, তা সমগ্র রাজ্যের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যর বিশেষ অনুঘটক হিসেবে সর্বদা সজাগ ও সক্রিয় থাকবে বলে আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী।’বিভিন্ন রাজ্যের নিজেদের সঙ্গীত রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বছর দুই আগে পর্যন্তও তেমন কোনও সঙ্গীত ছিল না। ২০২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীতের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনার পর বিধানসভায় ভোটাভুটিতে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হয়। যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এই রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জাতীয় সঙ্গীতের মতো রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার সময়ও উঠে দাঁড়াতে হবে। এবার রাজ্যের স্কুলগুলিতেও তা প্রার্থনার সময় গাইতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি হল।
