দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কালিম্পংয়ের কাছেই রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পাবং। মেঘমুক্ত দিনে এখানে ঘরে বসেই হাতছানি দেয় ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কালিম্পং থেকে অনেকটা উঁচুতে এই গ্রাম। সেকারণে চারপাশে জড়িয়ে আছে পাহাড়। খুব বেশি মানুষের বাস নেই এখানে। নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ। পাবংয়ের চারপাশে রয়েছে নদী উপত্যকা, দেবদারু, ওক, পাইন, কমলা বাগান তারই মাঝে আনাগোনা করে বহু নাম না জানা পাখি। সেই পাখির গুঞ্জন মুগ্ধ করে তুলবে আপনাকে। বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি পাখিও দেখতে পাবেন এখানে। নদীর জলে তাদের দুষ্টুমি মন ভাল করার অন্যতম ওষুধ যেন।
একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য, অন্যদিকে পাহাড়ের কোলে গ্রামের প্রাকৃতিক শোভা। পাহাড়ের কোল বেয়ে আসা ঝর্ণার জলের স্পর্শে ধুয়ে মুছে সাফ হবে সব ক্লান্তি। এই গ্রামে জৈব পদ্ধতিতে ধাপ চাষও হয়। স্বচক্ষে দেখে জানতে পারেন খুঁটিনাটিও। শুধুই পাবং গ্রাম নয় যেতে পারেন আশেপাশের ভিউ পয়েন্টেও। পাশেই রয়েছে লোলেগাঁও, চারখোল, কোলাখাম, রিষপ। পাবং থেকে চারখোলের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। ভাবছেন কীভাবে যাবেন? নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। কিন্তু সবচেয়ে সুবিধা হবে নিউ মাল জংশন থেকে গেলে। এক্কেবারে কাছেই রয়েছে দুর্দান্ত মন ভাল করা এই ভিউ পয়েন্ট।
এবার মনে মনে ভাবছেন পকেটের কথা? পকেটও সায় দেবেই। কারণ, এখানকার স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা জানা যায় এখানে রাতযাপন, খাওয়া এবং সমস্ত কিছু নিয়ে খরচ পড়তে পারে মাত্র ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা করে। বুঝতেই পারছেন সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে কিন্তু। তা হলে পরবর্তী ডেস্টিনেশনের চেকলিস্টে চটপট জুড়ে নিন পাবং গ্রামের ঠিকানা।