দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আর একটা দিন, তারপরেই গঙ্গার নিচ থেকে মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে। কিন্তু সমস্যা একটাই ভূগর্ভের ভিতরে পৌঁছলেই মোবাইল একেবারে সার্চিংয়ে চলে যাচ্ছে। কোনওরকম নেটওয়ার্কই থাকছে না। তাহলে যখন কেউ গঙ্গার নিচে মেট্রো ভূগর্ভে থাকবে, তখন মোবাইলে ফোন আসবে না? এমনটা হলে তো সত্যিই সমস্যার বিষয়। যদিও এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান করতে ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) টেলিকম সংস্থাটি। ভারতী এয়ারটেল ভারতের অন্যতম প্রধান টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবাগুলির মধ্যে একটি। কোম্পানির মতে, পাহাড় থেকে জল সবেতেই নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। কিন্তু এবার সত্যিই কোম্পানিটি হুগলি নদীতে ঠিক 35 মিটার নিচে উচ্চ-ক্ষমতার নোড তৈরি করতে চলেছে। এই কানেকশনের সাহায্যে মেট্রো ভূগর্ভে থাকাকালীন মানুষ বিচ্যুতিহীন সংযোগ পাবে।
হুগলি নদীর নিচ দিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় 16.5 কিলোমিটার। তার মধ্যে 10.8 কিলোমিটার মাটির তলা দিয়ে যাবে। আর তাই 35 মিটার নিচেই বসানো হচ্ছে বিচ্যুতিহীন সংযোগ ব্যবস্থা।
এয়ারটেল হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন, মহাকরণ এবং এসপ্ল্যানেড স্টেশনগুলির মধ্যে ফাইবারের মাধ্যমে এই কানেকশন পৌছে দেবে। এই সংযোগ প্রসারিত হবে 4.8-কিমি জায়গা জুড়ে। এমনকি যাত্রীদের 5G গতির ইন্টারনেট দেবে বলেই দাবি কোম্পানির। এই বিচ্যুতিহীন সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভয়েস কল থেকে শুরু করে ডেটা ট্রান্সমিশন, সব কিছুই করা যাবে।
ভারতী এয়ারটেল পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার সিইও অয়ন সরকার বলেছেন, “এয়ারটেল গ্রাহকদের আরও ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নদীর তলদেশে টানেল করে একটি সংযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। আর এর সাহায্যে নিত্যযাত্রীরা হাই-ডেফিনিশন ভিডিয়ো স্ট্রিমিং, গেমিং, একসঙ্গে একাধিক চ্যাটিং, ফটো আপলোড এবং আরও অনেক কিছুই করতে পারবেন। ঠিক যেমন 5G ইন্টারনেটে করা যায়।”