দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে আইনি পদক্ষেপের হুমকি । পরে চিঠি লিখে অনুরোধ । দিঘার 'জগন্নাথ ধাম' নিয়ে এভাবেই একাধিক উপায়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ওড়িশা । সোমবার ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে 'ধাম' শব্দটি জোড়ার ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন । আর মঙ্গলবার এ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ।
চিঠিতে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুদের চার ধামের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘পুরীর জগন্নাথ ধাম চার ধামের একটি। এখানকার ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বও অপরিসীম। শুধু ওডিশা নয়, সমগ্র ভারত এবং বিশ্বের কাছেই এই স্থানের অনন্য তাৎপর্য রয়েছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘জগন্নাথ ধাম শব্দবন্ধের সঙ্গে পুরীর পবিত্র যোগ রয়েছে। অন্য কোনও জায়গার মন্দিরের নামে যদি ধাম শব্দটি যোগ করা হলে লক্ষ লক্ষ ভক্ত, তীর্থযাত্রী এবং সাধারণ মানুষের ভাবাবেগে আহত হবে।’
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে ‘ধাম’ শব্দের ব্যবহারে পুরীর ঐতিহাসিক গুরুত্বও ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ মোহন চরণ মাঝির। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নামকরণে ধাম শব্দের ব্যবহার পুনর্বিবেচনার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তিনি। মমতা সরকার এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী।
জগন্নাথ ‘ধাম’ নিয়ে জলঘোলা হলেও মমতা অবশ্য এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরাসরি মুখ খোলেননি। অবশ্য বিতর্ক শুধু ধাম নিয়ে নয়, নিমকাঠের দারুমূর্তি নিয়েও হচ্ছে। পুরীর মন্দির থেকে পবিত্র নিমকাঠ দিঘায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।
এই নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মমতা। সোমবার মুর্শিদাবাদ যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপি মন্দির নিয়ে কিছু করলে তো আমি কোনও টিপ্পনি কাটি না! তাহলে ওদের এত রাগ হচ্ছে কেন? পুরী তো আমরা সবাই যাই। ওদের এত রাগ হচ্ছে কেন! আমি অবশ্য পুরী গেলে আরএসএস বিক্ষোভ দেখায়। ভুলে গেলেন। আজ জগন্নাথ ধাম নিয়ে এত হিংসা?’