দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ 'বিকল্প চাষ' কথাটা এখন বেশ পরিচিত। আসল কথা হলো ট্রাডিশনাল চাষে সব জমিতে এখন আর বেশি লাভ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার একই জমিতে মধ্যে কয়েক বছর অন্য কোনো চাষ করলে ফলন ভালো হচ্ছে। পরে সেই জমিতে আবার আগের চাষে ফিরে যাওয়া যায়। এমনি বিকল্প চাষে ভালো লাভের মুখ দেখছেন বিহারের মধুপুরা জেলা অরুণ কুমার। মাধেপুরা জেলার গামহারিয়া ব্লকের চিকনি ফুলকাহা গ্রামে এভাবেই লাভের মুখ দেখেছেন স্থানীয় এক কৃষক। চিকনি ফুলকাহার বাসিন্দা অরুণ কুমার অবশ্য পেশায় কৃষক নন। বরং তিনি একজন কলেজ শিক্ষক। সুপল ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। কিন্তু শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিজের গ্রামে ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ করেন। প্রায় ৫ একর জমিতে কলা চাষ করেছেন। দাবি, এই চাষ থেকে ভাল রকম লাভও পেয়েছেন। তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকেরা উৎসাহিত হচ্ছেন কলা চাষে।
অধ্যাপক তরুণ কুমার বলেন,প্রাথমিক ভাবে তিনি মনে করেছিলেন যে কলা চাষ করলে আদতে লোকসান ছাড়া আর কিছুই হবে না। কিন্তু তখন তাঁকে উদ্যানপালন বিভাগের এক আধিকারিক পরামর্শ দেন। ওই আধিকারিকের অনুরোধই কলা চাষ শুরু করেন অধ্যাপক। প্রাথমিক ভাবে এক বছর লাভের মুখ দেখেননি অরুণ কুমার, ক্ষতি হয়। দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তারপর যখন কলা গাছে ফল ধরতে শুরু করে তখন থেকেই আশার সঞ্চার হয়। বাজারে ভাল দামে বিক্রিও শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে কলা চাষের পরিধি বৃদ্ধি করেছেন তিনি। জানান, এই মুহূর্তে প্রায় ৫ একর জমিতে কলা চাষ করছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস কলা চাষের ক্ষেত্রে মাটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমাদের জেলার মাটি টি-নাইন জাতের কলা চাষ উপযোগী। এই জাতটি এই ধরনের মাটিতে ভাল ফলন দিতে পারে।’ তিনি জানান, কৃষকরা প্রতি একরে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন। সনাতন পদ্ধতিতে ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি চাষে খরচ বেশি এবং ফলন অনুযায়ী লাভও কম। কিন্তু কলা চাষ করলে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই অঞ্চলের কৃষকরা কলা চাষ করতে চাইলে বিনামূল্যে বীজ, উপযুক্ত পরামর্শ দিতে তিনি প্রস্তুত। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁর সাথে কলা চাষ নিয়ে যোগাযোগ করছেন।