দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আরবের খেজুরের চাহিদা পৃথিবী জুড়ে। দাম ও গুণমানে খুবই ভালো খেজুর ওই আরবের খেজুর। সম্প্রতি অনেক কৃষক বিকল্প চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো লাভ পাচ্ছে। তেমনি এক বিকল্প চাষের পরিকল্পনা নিয়েই শুরু আরবের খেজুর চাষ। সৌদি আরবের মানের খেজুর ফলানোর লক্ষ্যে খেজুর বাগান করেছেন কাটোয়ার এক কৃষক। কাটোয়া শহরের উপকন্ঠে অজয় নদের ধারে নিজের বিঘা দুয়েক জমিতে আরবের খেজুর গাছের বাগান তৈরি করেছেন গোপাল মণ্ডল নামে এক কৃষক। ইতিমধ্যে কিছু গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। কিছু গাছে ফুল এসেছে। মেগজুল, আজওয়া প্রজাতির খেজুর এই বাগানে ফলবে বলে দাবি গোপালবাবুর। কাটোয়া মহকুমা কৃষি আধিকারিক প্রলয় ঘোষ বলেন, ” আমি শুনেছি। এটা ভীষণ ভাল উদ্যোগ। ওই কৃষক ইচ্ছা করলে আমাদের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন। আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।'' ফলে অন্যান্য অনেক কৃষক উৎসাহ দেখাচ্ছেন এই খেজুর চাষে।
বর্তমানে আমাদের দেশেও গুজরাট, রাজস্থান প্রভৃতি রাজ্যে সৌদি আরবের প্রজাতির খেজুরের চাষ হচ্ছে। জানা যায় অন্যান্য রাজ্যেও অনেকেই গুজরাট থেকে বীজ বা চারা আনিয়ে লাভজনক খেজুর চাষ শুরু করেছেন। উৎকৃষ্ট মানের খেজুরের বাজারে যথেষ্ট দাম আছে। পুষ্টিগুণের কারণে খেজুরের চাহিদাও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজরাপুর কলোনির বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল বিকল্প চাষ হিসাবে খেজুর বাগান করেছেন। গোপালবাবু জানান দেড় বছর আগে দুবাই ও বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের ‘আজওয়া’ ও ‘মেগজুল’ প্রজাতির বীজ তিনি আনিয়েছিলেন। জমিতে জৈব সার দিয়ে খেজুর চাষের উপযোগী মাটি তৈরি করেন। কুড়ি ফুট তফাতে গর্ত তৈরি করে বীজ রোপন করেন৷সেখানে দিব্যি গাজ জন্মেছে। গোপালবাবু জানান বীজ আনিয়ে খেজুর বাগান তৈরি করতে তার এযাবৎ দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
পরীক্ষা মুলকভাবে শুরু করলেও গোপালবাবুর সঙ্গে কৃষি দপ্তর এই বিকল্প চাষ নিয়ে আশাবাদী। গোপালবাবু জানান খেজুর গাছের পুরুষ গাছ ও স্ত্রী গাছ দুই ধরনের গাছ রয়েছে। ভালো মানের খেজুর পেতে হলে স্ত্রী গাছের ফুলের ছড়া বের হওয়ার সাথে সাথে পুরুষ গাছের পরাগরেণু দিয়ে সময়মতো নিষেক ঘটানো আবশ্যক। সেই কৌশল গোপালবাবু রপ্ত করে নিয়েছেন৷ বাজারে ‘আজওয়া’ প্রজাতির খেজুর কিলো প্রতি ১১০০ – ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর ‘মেগজুল’ প্রজাতির খেজুর ৪০০ থেকে ৫০০ প্রতি কেজি বর্তমান বাজারমূল্য।