দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের কুটির শিল্পের মধ্যে অন্যতম মাদুর শিল্প। মাদুর শিল্পের অন্যতম কেন্দ্র মেদিনীপুরের। মাদুর শিল্পের জন্য প্রধান কাঁচামাল হলো সাইপাস পানগৌরী নামের এক ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। যাকে সাধারণভাবে 'মা' কাঠি বলা হয়। কিন্তু তার ফলন কম। ফলে সমস্যায় ছিল কৃষকেরা। এই পরিস্থিতিতেই নতুন বিকল্প ঘাসের সন্ধান দিলেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। আর বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা জায়গা করে নিল লন্ডনের বিখ্যাত 'নেচার' (প্রকৃতি) পত্রিকায়।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় (বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়)- এর বিকাশ ও বনবিদ্যা বিভাগ তথ্য ট্যাক্সোনমি, বাসিস্টেমেটিক্স এবং মলি কিউলার ট্যাক্সোনমিরপ্রেসার ড. অমল কুমার মণ্ডলের কাছে একটি পারিবারিক দল এই মা বা সাইপেরাস প্যানগৌরির বিকল্প প্রাকৃতিক বার আবিষ্কারের অনুসন্ধানে গবেষণা চলছে গত বছর প্রায় ১০ ধরে। আইআইটি খড়গপুর জৈব গবেষণাগারে এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গবেষণা করা হয়েছে বলে জানা যায় বিদ্যাসাগরের পরীক্ষা ডাক্তার মন্ডলের মুখে। তিনি এও জানান, “আমরা আগে জানতাম এই মাদুর কাঠির পানগৌরি (সাইপেরাস প্যাঙ্গৌরি) সাইপেরাস গোত্রের একটি গঠন থেকে। কিন্তু, আমাদের গবেষণায় কাছে এলো আর এক নতুন উদ্ভিদ। নাম পেয়াস প্লাটিস সাইলিস (সাইপারাস প্লাটিস্টাইলিস)।
তিনি বলেন, "আমাদের গবেষণায় উঠে এলো একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত আরেকটি উদ্ভিদ। সাধারণত জলা জায়গাতে জন্মায়। যা মাদুর কাঠির যথার্থ বিকল্প হিসেবেই আমাদের গবেষণায় উঠে এসেছে। আমরা শিল্পীদের দিয়ে তা ব্যবহার করিয়েও দেখেছি।” তিনি এও জানান, “সাম্প্রতিক এই গবেষণা বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’- এও স্থান পেয়েছে।” অধ্যাপক অমল কুমার মণ্ডল এবং অধ্যাপিকা সংযুক্তা মণ্ডল পারুই সকল গবেষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সঙ্গে আইআইটি খড়্গপুরের সংশ্লিষ্ট বিভাগকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এবার হয়তো বিকল্প মাদুর শিল্প দ্রুত তার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।