দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃবিয়ে(Marriage) সত্যিই জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সঠিক জীবনসঙ্গী খুঁজে না পেলে বিয়ে করতে চান না বেশিরভাগ মানুষই। এই পরিকল্পনায় কোনও ভুল নেই। আমাদের সমাজব্যবস্থায় মনে করা হয়, একটি সঠিক বয়সে বিয়ে করে নেওয়া প্রয়োজন। মেয়েদের ২৫ এবং ছেলেদের ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু এটাও প্রশ্ন যে বিয়ের কি আদৌ কোনও সঠিক বয়স হয়? আসলে আর্থিকভাবে ও মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলে কখনও বিয়ে করা উচিত নয় বলে আজকের প্রজন্মের একাংশ মনে করে। তবে মেয়েদের বিয়ের জন্য় যেমন চাপ দেওয়া হয়। ছেলেরা নাকি দেরি করে বিয়ে করলেও অসুবিধা নেই! সম্প্রতি এমন এক তথ্য উঠে এসেছে যে, এই কথা আপনার একদম ভুল মনে হতে পারে।
খুব বেশি বয়সে বিয়ে করাটাও নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই নেতিবাচক হতে পারে। ত্রিশ বছর বয়স থেকেই নারীর মা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে। পঁয়ত্রিশের বেশি বয়সে মা হওয়াটা তাঁর এবং অনাগত সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বাবা হওয়ার সম্ভাবনাও কমতে থাকে উনচল্লিশ বছর বয়স থেকে। তাই ক্যারিয়ার বা অন্যান্য দিক গুছিয়ে সময়মতো বিয়ে করার প্রয়োজনটাও অস্বীকার করার উপায় নেই।
বিয়ের জন্য নারী-পুরুষ উভয়ের মানসিক স্থিতি খুবই জরুরি। বয়স যতই হোক, থাকতে হবে পরিণত বোধ। বিয়ের পর অপরিণত আচরণ করলে সম্পর্ক প্রাণ হারাবে। সঙ্গীর কাছে অতিরিক্ত নাটকীয়তা প্রত্যাশা করলে কিংবা যুগল জীবনের দায়িত্ব সামলে নিতে পিছপা হলে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। নারী ও পুরুষ উভয়েরই সাংসারিক দায়িত্ব পালন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার সক্ষমতা থাকতে হবে। অপরের অনুভূতিকে সম্মান করতেও জানতে হবে। হতাশা বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার মতো মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে গেলে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
ব্যক্তি হিসেবে নিজের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আগে বিয়ে করলে সঙ্গীর ওপর অকারণ চাপের সৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া নিজের আত্মসম্মানেও আঘাত আসতে পারে একসময়। তাই ন্যূনতম আর্থিক যোগ্যতা অর্জনের পর বিয়ে করা উচিত। শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, পারিবারিকসহ সব দিক স্থিতাবস্থায় থাকলে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো। তবে এগুলোর কোনোটিকেই কিন্তু ধরাবাঁধা নিয়মে ফেলা যায় না। সবকিছুর ওপরে যদি জায়গা থাকে ভালোবাসার, যদি থাকে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা, তাহলে দাম্পত্য হবে সুখময়।