দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ভারতীয় রেল পরিষেবায় একাধিক ট্রেনের সুবিধা পেয়ে থাকেন দেশবাসী। বন্দে ভারত থেকে অমৃত ভারত, স্বল্প ভাড়ায় অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। তবে এমন একটি ট্রেন আছে, যে ট্রেনের ভাড়ার মূল্য আকাশছোঁয়া, এমনকি এই টিকিট খরচায় দিল্লিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনতে পারা যাবে। ভাড়ার মূল্য বেশি হলেও একেবারে পাঁচ তারা হোটেলের পরিষেবা পাওয়া যায় এই ট্রেনে।
এমনই এক ট্রেন হল মহারাজা এক্সপ্রেস। মহারাজা এক্সপ্রেস প্রথম চালু হয় ২০১০ সালে। এটি ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি জীবন্ত উদাহরণ। এই ট্রেনটি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত স্থানে যাত্রীদের নিয়ে যায়। তাজমহল, খাজুরাহো মন্দির, রণথম্বোর এবং বারানসীর স্নানের ঘাটের মতো স্থানে যাত্রীরা এই ট্রেনে করে ভ্রমণ করতে পারেন।
মহারাজা এক্সপ্রেসে থাকে পাঁচ তারা হোটেলের মতো সুবিধা। রাজকীয় চটকদার চেয়ার, টেবিল, বিছানা, খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা, বাথরুম সহ শাওয়ার, মিনি বার, লাইভ টিভি ইত্যাদি সবই এই ট্রেনে পাওয়া যায়। ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক খাবার পরিবেশন করা হয়। বিখ্যাত শেফরা এই ট্রেনে খাবার তৈরি করেন। ট্রেনে যাত্রীদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন, লাইভ মিউজিক, নৃত্য, এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ট্রেনের প্রতিটি কেবিন রাজকীয়ভাবে সজ্জিত। কাঠের কাজ, সুন্দর কারুকাজ এবং বিলাসবহুল ফ্যাব্রিক এই ট্রেনের ভিতরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। মহারাজা এক্সপ্রেসে বিভিন্ন ধরনের কেবিন রয়েছে। যেমন, প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট, ডিলাক্স, ডিলাক্স কেবিন, জুনিয়ান স্যুট, স্যুট ইত্যাদি।
মহারাজা এক্সপ্রেসের ভাড়া অনেক বেশি।দিল্লি-আগ্রা-রণথাম্বোর-জয়পুর রুটে, ডাবল অকুপেন্সি ডিলাক্স কেবিনের ভাড়া প্রায় ৪ লক্ষ টাকা হতে পারে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের ভাড়া ১১ লক্ষ টাকারও বেশি হতে পারে। এই ভাড়া ট্রেনের রুট এবং কেবিনের ধরনের উপর নির্ভর করে। দিল্লি-জয়পুর-রণথম্বোর-ফতেহপুর সিক্রি-আগ্রা-খাজুরাহো-বারানসি-দিল্লি রুটে ভাড়া আরও বেশি হতে পারে।