দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি বাজার গুলি নকল সামগ্রীতে ভরপুর। তাঁর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আছেই। ডিম আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লোভনীয় এবং সুস্বাদু খাবার। আর এখনকার বাজারে ছেয়ে গেছে এই নকল ডিম। দোকানের তাকে থরে থরে সাজানো থাকে এই 'নকল ডিম'। না বুঝেই মানুষে কিনে আনছেন, রান্না করে খেয়েও ফেলছেন, আর তাতেই অবনতি স্বাস্থ্যের! মারাত্মক ক্ষতিকর এই 'নকল ডিম' আসলে কী? কীভাবে বুঝবেন আপনি আসল ডিম কিনছেন না 'নকল ডিম'? 'নকল ডিম' খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী? কীভাবে 'নকল ডিম' চিনবেন? জেনে নিন বিস্তারিত
'নকল ডিম' হল কৃত্রিমভাবে তৈরি একপ্রকার 'ডিম'। দেখতে ডিমের মতো হলেও এটি আদতেই ডিম নয়। কারণ, ডিমে থাকে একাধিক স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর উপদান। কিন্তু 'নকল ডিম'-এ থাকে সিন্থেটিক কেমিক্যাল যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 'নকল ডিম'-এর কুসুম বানানো হয় গেলাটিন, সোডিয়াম অ্যালিজিনেট আর হলুদ রং-এর ফুড কালার দিয়ে। 'নকল ডিম'-এর সাদা অংশ বানানো হয় প্যারাফিন ওয়্যাক্স, জিপসাম পাউডার আর ক্যালসিয়াম সালফাইট দিয়ে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, 'নকল ডিম' খেলে হজমের সমস্যা হয়। ক্ষতিকর কেমিক্যালের প্রভাবে পেট ব্যথা, বমি বমিভাব, ডায়েরিয়া, গ্যাস হতে পারে। 'নকল ডিম'-এ থাকে ক্যালসিয়াম অ্যালজিনেট, জেলাটিন আর প্লাস্টিকের মতো ক্ষতিকর উপাদান যার ফলে ফুড পয়েজনিং ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নকল ডিম খাওয়ার ফলে লিভার ও কিডনির অসুখ হতে পারে।
'নকল ডিম' চেনার উপায়ঃ ১) আসল ডিমের খোলস কখনওই একেবারে মসৃণ হবে না। ছোট ছোট ছিদ্র থাকবে। কিন্তু 'নকল ডিম'-এর খোলস অনেকটাই বেশি কঠিন, খোলসে কোনও ছিদ্র-ও থাকবে না।
২) একটা পাত্রে জল নিয়ে ডিমগুলি রাখুন। আসল ডিম জলে ডুবে যাবে। 'নকল ডিম' জলে ভাসবে।
৩) কানের কাছে ডিমটি এনে ঝাঁকান। আসল ডিম যদি অনেকদিনের পুরনো হয়, তাহলে একটা হালকা আওয়াজ পাবেন। অন্যদিকে, নকল ডিম কানের কাছে ঝাঁকালে জোরে আওয়াজ হবে। নকল ডিম সেদ্ধর কুসুম অনেকটা রাবারের মতো। এ ছাড়াও নকল ডিমের খোলস পুড়ালে প্লাস্টিকের গন্ধ পাবেন।