দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ত্বকের সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে কড়া অন্যতম সমস্যা, যা অনেকেই গুরুত্ব দেননা। বরংচ মনে করেন, এটি নিজে থেকেই সেরে যাবে। কিন্তু এই ধারণা ভুল। হালকাভাবে নেওয়া এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
কড়া শব্দটা শুনতেই বেশ খটখটে। যার জীবনে একটা বা একাধিক আছে তার জীবনও তেমনই জ্বালাময়। পায়ের তলা হোক কিংবা হাতের তালুতে, পায়ের গাঁটে সবেতেই কষ্ট অনেক। শক্ত মেঝেতে পা রাখলেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঝনঝনিয়ে ওঠে। চলতি কথায় অনেকে বলেন পায়ের তলায় ‘কুল আঁটি’হয়েছে।
চামড়ার কোনও এক জায়গায় ক্রমাগত অতিরিক্ত চাপ বা ঘষা লাগার কারণে সেই স্থানের ত্বক ক্রমশই শক্ত ও মোটা হতে থাকে। সেটা চটি বা জুতোর ঘষা থেকে হতে পারে। আবার পায়ের হাড়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে, যেমন আর্থ্রাইটিস,তখন উঁচু হয়ে থাকা হাড় বা গ্রন্থি -র উপর যে চামড়ার অংশ, সেই জায়গায় সর্বদাই অতিরিক্ত চাপ বা ঘর্ষণ চলতে থাকে। এভাবেই দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকার দরুন পায়ের চেটোর নীচে কড়া সৃষ্টি হয়। ফলত, দাঁড়ানোর সময় কিংবা অনেকটা হাঁটাহাঁটি হলে চূড়ান্ত ব্যথা অনুভূত হয়। এই কড়া সৃষ্টি হলে হাঁটাচলায় বিঘ্ন ঘটে। ধীরে ধীরে আপনার চলার ভঙ্গি অস্বাভাবিক হতে থাকে।
মেনে চলুন নিম্নলিখিত কয়েকটি উপায় -
১) কড়ার চিকিৎসার প্রথম কথা হল প্রিভেনশন। সর্বপ্রথম ঠিকঠাক জুতো নির্বাচন করুন,এমন জুতো ব্যবহার করুন যাতে পায়ে কোনো চাপ সৃষ্টি না হয়, যদি কড়া হয়ে থাকে তবে ওই শক্ত, উঁচু জায়গার উপর যাতে চাপ না পড়ে এমন জুতো ব্যবহার করুন। অবশ্যই নরম জুতো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
২) জুতোর বা চটির মধ্যে নরম, মোটা ইনসোল লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজন হলে ঠিক কড়ার জায়গার সংস্পর্শে আসা ইনসোল কেটে ছোট ছোট গর্তের মতো (ডিম বহন করার পাত্রের মতো) করে দিতে হবে, যাতে কড়াগুলো ঐ গর্তের মধ্যেই বসে যায়।
৩) বেশি মোটা বা উঁচু কড়া মাঝেমধ্যে কেটে দেওয়া যায়, সাবধানে, উপরের অংশ থেকে পেন্সিল কাটার মতো, আলগোছে কাটুন, যাতে কাঁচা চামড়া পর্যন্ত গভীর না হয়।
৪) কড়ার ক্ষেত্রে ওষুধ লাগাতে হলে স্যালিসিলিক অ্যাসিজ (১৭%) এর রেডিমেড প্রিপারেশন পাওয়া যায়। রাতে শোবার আগে খুব সাবধানে শুধুমাত্র কড়ার উপর এটি লাগাতে হবে। আশেপাশের চামড়ায় লাগলে ছাল উঠে ঘা হয়ে যেতেপারে।
৫) কড়ার শক্ত অংশটা পাতলা বা নরম হয়ে গেলেই ওষুধ লাগানো বন্ধ করে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে কিছুদিন অন্তর পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
সর্বোপরি, কড়া কেন্দ্রিক বিশেষ সমস্যা দেখা দিলে, চূড়ান্ত ব্যথা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।