দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আপনার বাড়ির বারান্দাই (Balcony)আনন্দের জায়গা হয়ে উঠতে পারে। সারাদিনের একঘেয়েমি কাটাতে পারেন এখানেই। তার জন্য় একটু পরিশ্রম তো আপনাকে করতেই হবে। এখন আপনি ভাবছেন যে কী করা যেতে পারে? আসলে আপনার বারান্দাকে নতুন করে সাজিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। তখন আপনার বারান্দাই আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। হয়তো সারাদিন খুব কাজের চাপ গিয়েছে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আপনি এক কাপ চা নিয়ে এই বারন্দাতেই এসে বসলেন।
তখন মন ভালো হয়ে যেতে পারে। পছন্দের গান চললে তো আর কথাই নেই। যাই হোক, এই বারান্দায় সুন্দর ফ্লোর ম্যাট পাততে পারেন আপনি। আলো দিয়েও সাজিয়ে ফেলতে পারেন। খুব সুন্দর লাগে দেখতে। খুব কম খরচেই বারান্দা সাজিয়ে ফেলবেন কীভাবে? বারান্দা সাজানোর টিপস নোট করে নিন ঝটপট
সাবেকি কায়দায় ঘর সাজানোর কয়েকটা উপায় রইলো নীচে:
১) ঘরের আসবাব নির্বাচন: কাঠের পুরনো আলমারি, টেবিল, খাট, আরাম কেদারা ঘরগুলোকে এক আভিজাত্য চেহারা দিতে পারে। যদি পুরনো আসবাব না পাওয়া যায়, তাহলে নতুন আসবাবগুলোকে আগের দিনের নকশায় তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে আর সহজে পাওয়া যায় একটা ঘরে সাবেকি আবহ।
২) দেওয়াল: দেওয়ালে পুরনো ছবি, আয়না বা কাঠের শিল্পকর্ম লাগানো যেতে পারে আর দেওয়ালে হালকা রং ব্যবহার করে। তার উপর সাদা রঙের নকশা দিয়ে সাবেকি আবহ তৈরি করা যায়!
৩) পর্দা: সুতি বা মসলিনের তৈরি, হাতের কাজ করা পর্দা ব্যবহার করে ঘরে একটা আবহ তৈরি করা যায়।
৪) আলো: মাটির বা কাচের তৈরি মোমদানি,ঝাড়লণ্ঠন ঘরে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫) ঘর সাজানোর জিনিস: পুরনো ঘড়ি, মূর্তি, হাতে বোনা কাপড়, লেখার টেবিলে পুরনো দিনের লেখার সরঞ্জাম, দোয়াত, কালি, পুরনো বই এ সব রাখা যেতে পারে। হাতের কাজ করা বিছানার চাদর, বালিশের ঢাকা, কুরুশের কাজ করা টেবিল ও আয়নার ঢাকা ব্যবহার করে ঘরে একটা পুরনো দিনের চেহারা আনা যায়। বইয়ের তাকে বেছে বেছে বাঁধাই করা বই রাখা যেতে পারে। ঘরে গ্রামাফোন, টাইপরাইটার, হাতপাখা, হাতলণ্ঠন, মাটির পুতুল, এই ধরনের জিনিস দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
৬) মেঝে: মেঝেতে ভারী কাজ করা গালিচা বিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
সাবেকি কায়দায় ঘর সাজাতে হলে একটু ধৈর্য-সৃষ্টিশীলতা প্রয়োজন। আস্তে আস্তে সব জিনিস জোগাড় করতে হবে আর সবশেষে ঠিকঠাক জায়গামতো ব্যবহার করে চমৎকার কায়দায় সাজানো যায় শোয়ার কিংবা বসার ঘর।