কলকাতা, ১৪ জুন : নৈরাজ্যের বাংলাদেশে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত তাঁর পৈতৃক ভিটে ‘কাছারিবাড়ি’তে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ। সংগঠনের সভাপতি ডঃ সরূপ প্রসাদ ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক তিলক সেনগুপ্ত-র তরফে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, "যাঁর রচিত গান এখনও দুই প্রতিবেশী দেশের জাতীয় সঙ্গীত, সেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলাদেশের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে উন্মত্ত জনতা। একদল উন্মত্ত জনতা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছে । আমরা এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি । এই হিংসাত্মক হামলা তাঁর স্মৃতির প্রতি অবমাননা । নোবেল জয়ী সাহিত্যিকের সর্বজনীন দর্শন, শিক্ষা, বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান ।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি ১৯৪০ সালে কিনে নিলে ওই বাড়িটি ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে। রবীন্দ্রনাথ নিজেও প্রায়শই সেখানে গিয়ে উঠতেন। সেই বাড়িতে হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠছে। এই ঘটনার আঁচ এসে পড়েছে সীমান্তের এপারেও। 'সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ' এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই কাছারি বাড়ি বর্তমান বাংলাদেশ তথা অবিভক্ত বঙ্গপ্রদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত দোতলা বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন বহু মানুষ হাজির হন। সেই ঐতিহ্যবাহী কাছারি বাড়িতে হামলা করার অর্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তার পরিবারের সমস্ত গুণী মানুষ এবং আপামর বাঙালিকে চূড়ান্ত অপমান করা।" এরইসঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের সবাইকে গ্রেফতার করার জন্য বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করে 'সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ'। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কাছারি বাড়ি দ্রুত মেরামত করার এবং সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্যও আবেদন করেছে সংস্কার ভারতী।