ডায়মন্ড হারবার, ৩ ডিসেম্বর : শুভেন্দু অধিকারীর ডায়মন্ডহারবারের সভা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার হটুগঞ্জ। ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে সকাল থেকে দফায় দফায় অশান্তির খবর মিলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সেই পরিস্থিতিতেই সভাস্থল ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউস ময়দানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বেহালার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুমকি দিলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "আমার যাওয়ার রাস্তা ছাড়া সব রাস্তা আটকেছে। সব রাস্তা আটকেছে তৃণমূল। বিজেপি সমর্থকদের সভাস্থলে যেতে বাধা দিচ্ছে।' পরক্ষণেই তাঁর পালটা হুঁশিয়ারি, 'চাইলে আমিও অবরোধ করতে পারি। কোলাঘাট থেকে মারিশদা পর্যন্ত কাঠের গুঁড়ি ফেলতে পারি! ৩ সেকেন্ডে অবরোধ করে দিতে পারি। কিন্তু আমরা সেসব করব না। কারণ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখি।" তিনি আরও বলেন, ”আমার সভায় যে ক’জন মানুষ আসছেন, তাঁরা প্রাণ বাঁচিয়ে আসছেন। তাঁদের উদ্দেশে আমি বক্তব্য রাখব। তারপর ফিরে এসে বাকিটা দেখব।" এদিন সকাল থেকে মথুরাপুরের লালপুরে রাস্তা অবরোধ, কুলপির শ্যামবসুর চক, হটুগঞ্জে শুরু হয় অশান্তি। এখানেও টায়ার পুড়িয়ে জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ। অশান্তির সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ালেও তাঁদের দাবি, শুভেন্দুর সভা বানচালের কোনও উদ্দেশ্য নেই তাঁদের। সভাকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না। ওই অবরোধ পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, ১০০ দিনের কাজ বন্ধের প্রতিবাদে। অবরোধের ফলে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। বেলার দিকে আরও বাড়তে থাকে অশান্তি।