কলকাতা, ১৪ মে : “আমাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে সবটা নজর রাখা দরকার। ওদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। তার পরেও এত বড় ঝুঁকি থেকে যায়। এটাই চিন্তার বিষয়।’’ রিঙ্কু মজুমদারের পুত্রবিয়োগ সম্পর্কে বুধবার সংবাদমাধ্যমে এই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। প্রীতমের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই ওষুধের ওভারডোজ়ের প্রসঙ্গ আসছে। দিলীপ ঘোষের মুখেও শোনা গেল সেই কথাই। এ দিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কী ভাবে কী হলো সেটা ময়নাতদন্তের ফাইনাল রিপোর্টই বলতে পারবে। তবে প্রীতম একা থাকতেন না।’ এমনকী ঘটনার আগের রাতে তিনি বন্ধুদের সঙ্গেই ছিলেন বলে জানান দিলীপবাবু। এমনকী আগে রিঙ্কুও গিয়ে থেকেছেন বলে দাবি দিলীপের।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে একসঙ্গে ছিল। রাতে পার্টি করেছে, এইটুকু জানি। কিন্তু যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, ড্রাগ বা ইত্যাদি। এ সমস্যা আগে থেকেই ওর ছিল। শুনলাম ওর কাউন্সেলিং চলছিল, অফিসের ডাক্তার দেখতেন। চেষ্টা চলছিল ঠিক করার।’ দিলীপবাবুর সংযোজন, ‘আজকে যুবসমাজের মধ্যে নেশার যে প্রভাব, এটা তার একটা নমুনা। কী হয়েছিল, কত দূর হয়েছিল, নেশা করেছিল কি না তা তো বলার আগেই ছেলেটা শেষ হয়ে গেল। আমার মনে হয় আগামিদিনে সেটা জানা যাবে। আর আমাদের সবার কাছে এটা একটা বড় শিক্ষা সকলের জন্য।
গত মাসেই রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। মায়ের বিয়েতে গরহাজির ছিলেন প্রীতম। শহরের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে মাকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তাঁর স্বাভাবিক সম্পর্কের কথা।