দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- আর জি কর হাসপাতালে ভয়ানক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর ‘থ্রেট কালচার’ এখন খুবই পরিচিত শব্দ। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে একটা ভয়াবহ সংস্কৃতি জাঁকিয়ে বসেছে। তা হল থ্রেট বা হুমকি দেওয়া। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রকাশ্যেই দাবি করলেন, “বাংলায় থ্রেট কালচারের মুখ হলেন অনুব্রত মণ্ডল”।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, সিবিআই কেন বিচার শুরু করতে পারেনি জানিনা। তবে এটা তাদের অপদার্থতা, অকর্মণ্যতা ও আপসের একটা বিষয়। আর একটা বিষয় হল, অনুব্রত নিজে। বাংলায় থ্রেট কালচারের মুখ হলেন অনুব্রত মণ্ডল। গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম—এ শব্দের আমদানি তাঁরই। এমনকি দলের অনুষ্ঠান থেকে সতীর্থর উদ্দেশে বলতে শোনা গেছে, ওকে গাঁজা কেস দিয়ে দে। বীরভূমে কী ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ অনুব্রত কায়েম করে রেখেছিলেন তা কারও অজানা নয়।
থ্রেট কালচারের প্রসঙ্গে বামেদের পাল্টা বিঁধতে ছাড়েনি তৃণমূল। তারা কেশপুর, গড়বেতা, নেতাই, বানতলার কথা মনে করাতে চেয়েছে। তবে শাসক দলের সূত্রে এও বলা হচ্ছে, অনুব্রত এখনই খুব সক্রিয় হয়ে নামবেন না। দলও সময় নেবে। কারণ, বর্তমান সময়টা খুব যে অনুকূল যাচ্ছে তা নয়। তাই অনুব্রত জামিনে মুক্তি পেলেও কোনও তাড়াহুড়োর পক্ষে নেই দল।