দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চারিদিকে ভাসছে ড্রেনের জল। সেখানেই বসে শাক-সব্জি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তা দেখে মুখ ফেরাচ্ছেন ক্রেতারা। সে ভাবে সব্জি বিক্রি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরাও। ১৫ দিন ধরে আরামবাগ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন সব্জি বাজার এলাকায় এ ভাবেই ভুগতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
সব্জি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এমন অবস্থা দেখেও পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ক্রেতারা কেউ তাঁদের কাছ থেকে সব্জি কিনতে চাইছেন না। নোংরা জলে সব্জি ডুবে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন লাভ হচ্ছে না তাঁদের। আরামবাগে এই সব্জি বাজার সবচেয়ে পুরোনো। দ্বারকেশ্বর নদীর পাশেই এই বাজার। আরামবাগ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই বাজার থেকে বাজার করেন। আবার অনেক বিক্রেতারাও এই বাজারে তাঁদের সব্জি বিক্রি করতে আসেন। মাথায় হাত পড়েছে তাঁদেরও।
ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘করোনা কালেও এই সব্জি বাজার বন্ধ ছিল না। সময় মেনে সব্জি বাজার খোলা হয়েছিল। তবে পুরোনো বাজারকে দুভাগ করে দেওয়া হয়। আরামবাগ বয়েজ স্কুল মাঠে কিছুদিন সব্জি বাজার বসানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি এমনটা কোনও দিন হয়নি। এখন তো সব্জি কেউ নিতেই চায় না।’
সব্জি বিক্রেতা অর্চনা রায়, প্রতিমা সর্দার, পামেলা ঝাউরা বলেন, ‘ড্রেনের নোংরা জল উঠে এসে জমে যাচ্ছে। কোনও নিকাশির ব্যবস্থা নেই। সেই নোংরা জলের জন্য আমরা সব্জি নিয়ে বসতে পারছি না। সব্জির সঙ্গে নোংরা জল মিশে যাচ্ছে। তাই খরিদ্দাররাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এতে যা কিনে নিয়ে আসছি তা পচে যাচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।’
অভিযোগ, এই প্রাচীন সব্জি বাজারের এই রকম অবস্থা হয়েছে। কিন্তু পুরসভার পক্ষ থেকে ড্রেন সংস্কারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। একাধিকবার আবেদন করা হলেও কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি বলেন, ‘ওটা বলা হয়েছে। কাজ হয়ে যাবে। স্থানীয়রা ড্রেনের মধ্যে নানা রকম দ্রব্য ফেলে দিচ্ছেন। তাতেই এই অবস্থা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’