দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং আপত্তিকর ইঙ্গিত করার অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের জেরে সোমবার স্কুলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ছাত্রছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে, যার ফলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, এসবই একটি ষড়যন্ত্র। কিছু সহকর্মী চান না তিনি প্রধানশিক্ষকের পদে বসুন—এই কারণেই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ।
সোমবার সকালে একাদশ শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রী প্রথমে জড়ো হন স্কুলে। তাঁরা বাৎসরিক পরীক্ষায় না-বসে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্লোগান তোলেন। সেখানে জড়ো হন অন্যান্য ছাত্রছাত্রী। খানিক ক্ষণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্কুলে যায় বাগদা থানার পুলিশ। ঘেরাও হয়ে থাকা সহকারী প্রধানশিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করেন ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, ওই সময় মারধরে মাথা ফেটেছে সহকারী প্রধানশিক্ষকের।এর পর থানার সামনে বিক্ষোভে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বাগদা থানার সামনেও বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘উনি অনেক বাজে বাজে কথা বলেন ছাত্রীদের। সম্প্রতি আমাদের এক সহপাঠীকে বাজে ইঙ্গিত করেছেন। অনেককে রাতে ফোন করেন। ওঁর শাস্তি চাই। না-হলে পরীক্ষা দেব না।’’ আর এক ছাত্রী বলেন, ‘‘উনি ছাত্রীদের ধরে নিয়ে যাবেন বলেন। কাউকে পরোক্ষে ‘সেক্স’-এর কথা বলেন। কঠোর শাস্তি চাই ওঁর।’’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সহকারী প্রধানশিক্ষক। তাঁর দাবি, সহকারী প্রধানশিক্ষকের চেয়ারে বসার পর থেকেই স্কুলের কয়েকজন সহশিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। তাঁকে অপদস্থ করতে এবং বদনাম রটাতে ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই মিথ্যে অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি যাতে সহকারী প্রধানশিক্ষক না-হই সে জন্য কেউ কেউ চেষ্টা করেছেন। কোনও কোনও শিক্ষক এই বিক্ষোভের পিছনে আছেন। তাঁদের উস্কানিতে পড়ুয়ারা এই কাজ করছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি ছাত্রীদের ‘মা’ বলি। ওদের খারাপ কথা বলতেই পারি না।’’