দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চৌত্রিশ বছর বয়সে বিজেপি-র হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে প্রথমবারেই জয়ী হন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। দু'লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন পুরুলিয়ার ঝালদার প্রত্যন্ত পাতরাডি গ্রামের তরুণ। গত ক'বছরে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে সাংসদ তহবিলের টাকার সঠিক ব্যবহারকে মূলধন করে দ্বিতীয় ইনিংসেও জয়ে আত্মবিশ্বাসী।
জ্যোতির্ময়ের কথায়, 'গত পাঁচ বছরে প্রচুর কাজ করেছি। এমপি কোটার টাকা সঠিক ব্যবহার হয়েছে। বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প জেলায় আনতে পেরেছি। মানুষ এ বারেও আমাকে ভোট দেবেন।' অবশ্য জ্যোতিপ্রিয়কে 'ডুমুরের ফুল' বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না বিরোধীরা। জুড়েছে 'ফেশিয়াল' এমপি-র তকমাও। তাঁরও পাল্টা প্রশ্ন, 'পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা কি অপরাধ?'
আরও অভিযোগ, তিনি নাকি বেশিরভাগ সময়ই এখন ঝাড়খণ্ডে কাটান। উন্নয়ন নিয়ে বিস্তর প্রচার করলেও, জ্যোতির্ময় বারবার পৌঁছে যাচ্ছেন ছোট-বড় মন্দিরে। তিলক কাটা থেকে শুরু করে 'মোদীজির' রামমন্দিরের বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় কোনও খামতি রাখছেন না। স্পষ্ট বক্তব্য, 'রামমন্দির হলো আমাদের আবেগ। আদরণীয় মোদীজি তা বাস্তব করে দেখিয়েছেন।
মানুষের কাছে বলতে কুণ্ঠা হবে কেন?' কথা বলা শুরু করলে, 'আদরণীয় মোদীজি' প্রায় প্রতিটি বাক্যে তিনি বলবেনই। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরুলিয়ায় সভা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই হিন্দুত্বের ইস্যু উস্কে দিয়েছিলেন। সে পথেই এগোচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী।
আইনের স্নাতক জ্যোতির্ময়ের কথায়, 'মোট ২৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার প্রকল্প করেছি। আগের এমপি-র ফেলে রাখা টাকাও আমি কাজে লাগিয়েছি। জেলাজুড়ে কেন্দ্রের ২২টি বড় প্রকল্প হয়েছে। শুধু রঘুনাথপুরের ডিভিসি-তেই ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে কেন্দ্র। শুরু হয়েছে পুরুলিয়া কোটশিলা ডাবল লাইনের কাজও। একাধিক রাস্তায় ওভারব্রিজ থেকে শুরু করে আন্ডারব্রিজ-পুরুলিয়ায় ফোর লেন রাস্তা হচ্ছে। মানুষ আশীর্বাদ করলে আরও কাজ করতে চাই।'