West Bengal

3 months ago

Sundarban: ঘূর্ণিঝড় ও দূষণ সমস্যার সমাধানে নয়া পদক্ষেপ সুন্দরবনে

Sundarban (File Picture)
Sundarban (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সুন্দরবন লাগোয়া গ্রাম গুলোতে ঘূর্ণিঝড় বা বৃষ্টিপাত হলেই নদীবাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ছে নোনাজল। আর তাতেই বেড়ে উঠছে ওই অঞ্চলের জল ও মাটি লবণাক্ত হওয়ার প্রবণতা। ফলে সমস্যা হচ্ছে খাদ্যশস্য ও মাছ চাষে। সেই সমস্যার সমাধানে এ বার পরিবেশ দপ্তরের সহযোগিতায় সুন্দরবনের জন্য সেচ দপ্তর বেশ কিছু পরিকল্পনা নিতে চলেছে।

সেচ দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘কয়েক বছক অন্তর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের। এর ফলে সমস্যার মুখে পড়ছেন স্থানীয় চাষিরা। তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং সুন্দরবনের ক্ষতি ঠেকাতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’

সেচ দপ্তর সূত্রের খবর, নোনা জল ঢোকা বন্ধ করতে উত্তর দিকের অংশ থেকে মিষ্টি জলের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। সে জন্য ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেচখাল পলিমুক্ত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নদী বাঁধের উপর ম্যানগ্রোভের চারা বসানো হবে। যা নদী বাঁধকে আরও পোক্ত করে তুলতে সাহায্য করবে। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষার কথা মাথায় রেখে নতুন পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে এবং মোটর চালিত নৌকা থেকে জ্বালানি তেল বেরোনোর কারণে সুন্দরবনের উপর ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম-১০) বিষিয়ে তুলেছে পরিবেশকে। তা ছাড়া, স্থানীয় বহু নৌকার মোটর অনেক দিনের পুরোনো। যা বাতাসে ভারী বিষাক্ত ধাতুর মেশার অন্যতম প্রধান উৎস। সে জন্য সুন্দরবন চত্বরে পরিবেশবান্ধব নৌকা ব্যবহারের উপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

পরিবেশ দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, সুন্দরবনের ৯০ শতাংশ মানুষ কাঠ-কয়লা পুড়িয়ে রান্না করেন। যা বাতাসের মান এবং সামগ্রিক ইকোসিস্টেমের ক্রমশ অবনতি ঘটাচ্ছে। সে জন্য ওই চত্বরে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার এবং ওভেন বিলি করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। অভিযোগ, ওই এলাকার বেশ কিছু কারখানাও বায়ু দূষণ ঘটাচ্ছে।

পরিবেশবিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সুন্দরবন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বসানোর উপর আরও বেশি করে জোর দিতে হবে। সামুদ্রিক সাইক্লোনের গতিবেগকে ম্যানগ্রোভের কভার ৬০ শতাংশ কমাতে পারে।’

You might also like!