দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরের দই খেয়ে প্রশংসা করেছিলেন। এবার তার সুফল পাচ্ছেন মিষ্টি ব্যাবসায়ীরা। হুগলীর মিষ্টি ব্যাবসায়ীদের কথায়, 'জামাইষষ্ঠীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চাহিদা বাড়ছে মিষ্টি দইয়ের।' এর পাশাপাশি বিভিন্ন সন্দেশের চাহিদাও তুঙ্গে। ঠিক কী জানাচ্ছেন হুগলির মিষ্টি ব্যবসায়ীরা? জামাইষষ্ঠীতে কি সবথেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে দই?জেনে নিন
বিভিন্ন 'ফ্লেভার'-এর দই বিক্রি করছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। মিষ্টি ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস বলেন, 'জামাইষষ্ঠীতে বিভিন্ন রকমের সন্দেশ ও মিষ্টি তৈরি করেছি। অন্যান্য বারের থেকে এই বছর দইয়ের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির দইয়ের প্রশংসা করেছিলেন। তাঁকে ধন্যবাদ। সাংসদের মুখ থেকে প্রশংসা পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি ব্যবসায়ীরা। আমাদের মনের জোর বেড়েছে।’
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী শৈবাল মোদক বলেন, ' আগে দু'রকমের দই তৈরি হলেও এখন বিভিন্ন ফ্লেভারের দই তৈরি হচ্ছে। ফলের রস দিয়ে তৈরি হচ্ছে দই। এর মধ্যে জনপ্রিয় আম দই, গন্ধরাজ দই। আগে যে তুলনায় দই বিক্রি হত, বর্তমানে সেই দইয়ের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। জামাইষষ্ঠীতে দইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সন্দেশ ও তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জলভরা সন্দেশ, জামাইষষ্ঠী সন্দেশ, কাঁঠাল সন্দেশ, ম্যাঙ্গো সন্দেশ। বিভিন্ন স্বাদের ৩০ রকম সন্দেশ তৈরি করা হয়েছে।’ জামাইষষ্ঠীর জন্য দামের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দইয়ের পাশাপাশি হুগলির বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে কিছু সন্দেশ। ম্যাঙ্গো চকোলেট, কাজু মহারাজের পাশাপাশি হিট জামাইষষ্ঠী স্পেশাল, জামাই আপ্যায়ন, জামাই নেমন্তন্ন লেখা সন্দেশ। জামাইষষ্ঠীতে এই বিশেষ ধরনের মিষ্টি এবং সন্দেশ পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।
মঙ্গলবার রাত থেকেই দোকানগুলিতে ভিড় ছিল রীতিমতো উপচে পড়া। ক্রেতাদের হিড়িকে ১২টা পর্যন্তও খোলা ছিল কিছু মিষ্টির দোকান। হুগলির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই বছর বাজার বেশ ভালো। মিষ্টি, দই, রসগোল্লা, ল্যাংচা বিক্রি হচ্ছে হু হু করে। আশা করা যায় অনেক ব্যবসায়ীই লাভের মুখ দেখবেন।’